ভর্তুকি মূল্যের সারের ওপর উৎস কর আরোপ করলে বাজার অস্থিতিশীল হয়ে দাম বাড়বে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন নওগাঁর বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ কর্পোরেশনের (বিসিআইসি) ডিলাররা।
সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) দুপুুরে নওগাঁ শহরের সরিষাহাটির মোড়ে বাংলাদেশ ফার্টিলাইজার অ্যাসোসিয়েশন (বিএফএ) নওগাঁ জেলা কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে এ আশঙ্কার কথা জানান তারা।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পড়েন বিএফএ নওগাঁ জেলা শাখার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মিজানুর রহমান।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘বিসিআইসির সার ডিলাররা ১৯৯৫-৯৬ সাল থেকে চাষিপর্যায়ে সুষ্ঠু সার সরবরাহের দায়িত্ব পালন করে আসছেন। বিসিআইসির সার ডিলাররা বরাদ্দের শতভাগ সার উত্তোলন করেন। ইউরিয়া সারের সরকারি মূল্য ১ হাজার ৩৫০ টাকা থাকলেও নওগাঁতে বর্তমানে ১ হাজার ২৯০ টাকা থেকে ১ হাজার ৩০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কিন্তু নন-ইউরিয়া সারের দাম ঊর্ধ্বমুখী। এর মূল কারণ নন-ইউরিয়া সার বিতরণে শৃঙ্খলার অভাব। নওগাঁ জেলাতে ২০৭ জন বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি) ও ১২৭ জন বিসিআইসি সার ডিলার রয়েছে। সার ব্যবস্থাপনায় বিসিআইসি ডিলারদের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে নন-ইউরিয়াসহ সব ধরনের সার কৃষকদের মাঝে সুষ্ঠুভাবে বিতরণ করা সম্ভব। বিএফএর সদস্যদের মাধ্যমে বিএডিসি আমদানিকৃত সার বিতরণের উদ্যোগ নিলে অতীতের মতো ভবিষ্যতেও এ সেক্টরে শৃঙ্খলা বজায় থাকবে।’
বিসিআইসির সার ডিলারদের পরিবহন খরচ ও বিক্রয় কমিশন বৃদ্ধির দাবি জানিয়ে মিজানুর রহমান বলেন, ‘জ্বালানি তেলের দাম কয়েক দফা বাড়ানোর পর বিসিআইসির সার ডিলারদের পরিবহন খরচ বাড়ানো হয়নি। এছাড়া ব্যাংক সুদ, গুদাম ভাড়া, কর্মচারী ব্যয়, লোড-আনলোডসহ আনুষঙ্গিক খরচ বেড়েছে। শোনা যাচ্ছে, সার ডিলার নিয়োগ ও সার বিতরণ সংক্রান্ত নীতিমালায় সরকার বড় ধরনের পরিবর্তন আনতে যাচ্ছে। আমাদের দাবি হচ্ছে, এই নীতিমালায় বিসিআইসির সার ডিলারদের বিক্রয় কমিশন ও পরিবহন খরচ বৃদ্ধি করে নীতিমালা প্রকাশ করতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘যেসব ব্যবসায়ী ২০-৩০ বছর ধরে সার ডিলারশিপের ব্যবসায় করছেন, তাদের সার ডিলারশিপ বহাল রাখতে হবে। সেটা করা না হলে ২০-৩০ বছর ধরে তারা যে ব্যবসায় করছে, তাদের সরকারের কাছে কোটি কোটি টাকা ঋণ রয়েছে, গোডাউনে পর্যাপ্ত মাল অবিক্রিত রয়েছে- এগুলোর দায়ভার কে নেবে?’
সংবাদ সম্মেলনে বিএফএ নওগাঁ জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক দিপক কুমার সরদার, বিএডিসি সার ডিলার অ্যাসোসিয়েশন নওগাঁ জেলা শাখার সভাপতি লিটন কুমার দাসসহ সংগঠনটির ১১ উপজেলার নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
কেকে/ এমএ