কুমিল্লা জেলার মেঘনা উপজেলার গোবিন্দপুর ইউনিয়নের সেননগর এলাকায় প্রায় ৫০ মিটার দীর্ঘ একমাত্র সংযোগ সেতুটি দীর্ঘদিন ধরে ভাঙা অবস্থায় পড়ে আছে। এতে প্রতিদিন ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছেন হাজারো মানুষ।
রোববার (২৮ সেপ্টেম্বর) বিকালে সরেজমিনে দেখা যায়, সেতুটির মাঝখান ভেঙে পড়ায় এর উপর দিয়ে চলাচল অত্যন্ত বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে। শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সকালে সেতুর ভাঙা অংশে পড়ে গুরুতর আহত হয় হিজলতুলি গ্রামের স্বপন মিয়ার ছেলে তানভীর (১৪)। একই দিনে আরও এক যুবক দুর্ঘটনার শিকার হন।
স্থানীয় বাসিন্দা মাওলানা মো. হাসান মাহমুদ বলেন, “প্রায় প্রতিদিনই এই সেতুর কারণে ছোট-বড় দুর্ঘটনা ঘটছে। ভাঙা অংশ অতিক্রম করতে গিয়ে অটোরিকশা, সিএনজি ও ভ্যান উল্টে যাওয়া বা যাত্রী পড়ে যাওয়ার ঘটনা নিয়মিত ঘটছে। শিশু ও বৃদ্ধদের জন্য ঝুঁকির মাত্রা আরও বেশি। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বারবার পোস্ট দেওয়াসহ স্থানীয় ও জাতীয় গণমাধ্যমেও খবর প্রকাশিত হয়েছে।’
তবুও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নেয়নি বলে জানান তিনি।
হাসান মাহমুদ আরও বলেন, ‘এ সেতুটি স্থানীয় কৃষক ও ব্যবসায়ীদের জন্যও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ভাঙা অবস্থায় পড়ে থাকায় কৃষিপণ্য ও নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র পরিবহনে মারাত্মক সমস্যা তৈরি হচ্ছে। এতে সময় ও খরচ দুটোই বাড়ছে, কৃষক ও শ্রমজীবী মানুষ পড়ছেন আর্থিক ক্ষতির মুখে।’
এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক বলেন, ‘আমাদের সন্তানরা প্রতিদিন স্কুলে যায় এই ভাঙা সেতু দিয়ে। আমরা সব সময় আতঙ্কে থাকি, কখন যে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটে যায়।”
এ বিষয়ে মেঘনা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাহমুদুর রহমান বলেন, ‘এই ব্রিজটি ভেঙে ফেলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। খুব শিগগিরই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
কেকে/এমএ