ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর পৌরবাসী অনুমোদনহীন ইজিবাইক ও ব্যাটারি চালিত অটোরিকশার জন্য ভোগান্তি দিন দিন বেড়েই চলছে। পৌরসভার পক্ষ থেকে ২৭৩টি ইজিবাইকের অনুমোদন থাকলেও প্রতিদিন চার গুণের ও বেশি ইজি বাইক-অটোরিকশা চলাচল করে।
অভিযোগ রয়েছে এ সব লাইসেন্স বিহীন রিকশার কারণে বিদ্যুতের অপচয় হচ্ছে। পৌর সদরে চলাচলকারী অটোরিকশার পেছনে পৌরসভার নম্বর প্লেটের পরিবর্তে দেখা যায় বিভিন্ন মালিকের নাম ও মোবাইল নাম্বার। এ সব গাড়ির অদক্ষ চালকরা যেখানে- সেখানে গাড়ি রেখে যাত্রী ওঠানামা করান।
এ ছাড়াও রাস্তার ওপর মোটর সাইকেল পার্কিং ও ফুটপাত দখল করে অস্থায়ী দোকানের কারণে পুরো শহর স্থবির হয়ে পড়েছে।
স্থানীয়রা বলেন- শহরের রাস্তা গুলো এমনিতেই সরু। তার ওপর ধারণ ক্ষমতার চেয়ে চার গুণ বেশি ইজিবাইক চলাচলের কারণে দিনের বেলায় শহরে হাঁটাচলা করাও কঠিন হয়ে পড়ে।
সরজমিনে পৌর শহরে দেখা যায়- প্রতিদিনই কোর্ট রোড, সালাম রোড, থানা গেইট, লঞ্চঘাট, ডাকবাংলোর সামনে, আলিয়াবাদ গোল চত্বর ও কোনাঘাট মোড় এলাকায় তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়। যানজটের কারণে শিক্ষার্থীসহ নবীনগর বাজারে আসা মানুষ চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছে।
মান্নান মিয়া নামে এক অটোরিকশার চালক বলেন, শহরে এখন কোনো শৃঙ্খলা নাই। যার যেখানে খুশি সেখানে গাড়ি থামিয়ে যাত্রী ওঠানামা করান।
৪ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা কাউছার আহম্মেদ বলেন, শহরের যানজট দিন দিন বেড়েই চলেছে। যেখানে-সেখানে ইজিবাইক দাঁড়িয়ে থাকার কারণে হেঁটে চলাচল করাও কঠিন হয়ে পড়েছে।
আলমনগর গ্রামের বাসিন্দা কামাল মিয়া জানান, সড়কের তুলনায় শহরে যানবাহন বেশি চলাচল করে। এ ছাড়া অটোরিকশার চালকরা যেখানে-সেখানে গাড়ি থামিয়ে যাত্রী ওঠানামা করেন। এ সব কারণে যানজট সৃষ্টি হচ্ছে। বর্তমানে পৌরসভার তত্ত্বাবধানে কয়েকজন আনসার / চৌকিদার পৌরসড়কে ট্রাফিক পুলিশের দায়িত্ব পালন করছেন। তবে গাড়ির তীব্র চাপের কারণে তারা যানজট নিরসন করতে ব্যর্থ হচ্ছেন।
নবীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও পৌর প্রশাসক রাজিব চৌধুরী বলেন, ‘সমস্যা চিহ্নিত করে যানজট নিরসন করতে আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। আশা করছি শিগগিরই শহরের যানজট নিরসন হবে।’
কেকে/ এমএস