গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার উল্ল্যা বাজারের শিফা মেডিকেল হল ঔষধের দোকানের প্রোপাইটার আব্দুল আজিজ খোকনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা দেওয়ার পর আবারো বিয়ের দাবি নিয়ে আসায় সুমাইয়া আক্তার শম্পা নামের এক নারী গণধোলাইয়ের শিকার হন।
ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী খোকনের দাবি, আমি ওই নারীর কাছে পাওনা টাকা চাইলে, সে টাকা না দিয়ে আমার বিরুদ্ধে উল্টো মিথ্যা ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন।
পরে ওই ব্যবসায়ী মামলায় জামিনে এসে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছিলেন। কিন্তু সম্প্রতি ওই নারী বিভিন্ন সময় ভয় ভীতি প্রদর্শন ও আবারো মামলা দিয়ে হয়রানির হুমকি দিতে থাকেন।
ঘটনার দিন, ২৪ সেপ্টেম্বর (বুধবার) দুপুরে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে শম্পা আরো ৪/৫ জন সহযোগী নিয়ে শিফা মেডিকেল হলে প্রবেশ করে। সেখানে দোকানের ক্যাশ থেকে জোরপূর্বক ৫৫ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেন এবং জোসনা বেগম, লিমা আক্তারসহ অজ্ঞাত ৪/৫ জনের সহযোগিতায় প্রায় ৮০ হাজার টাকার ওষুধ মালামাল লুট করেন। এমনকি খোকনের ওপর হামলা চালিয়ে তার হাতের কব্জিতে গুরুতর জখম করেন। এ ঘটনায় দোকানের আরো প্রায় ২০ হাজার টাকার ঔষধ ক্ষয়ক্ষতি হয়।
ঘটনা জানাজানি হলে স্থানীয় জনতা উত্তেজিত হয়ে ওই নারীকে গণধোলাই দেয় এবং পরে ছেড়ে দেয়।
ভুক্তভোগী খোকনের পরিবার থেকে তাৎক্ষণিক ৯৯৯ নম্বরে ফোন দিলে সাঘাটা থানা পুলিশ এসে ঘটনাস্থলে বিষয়টি তদন্ত করে। এর আগেই সুমাইয়া আক্তার শম্পা ঘটনাস্থল থেকে চলে যায়। বর্তমানে ঘটনাটি এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে।
এ ঘটনায় বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) ভুক্তভোগী আব্দুল আজিজ খোকন সাঘাটা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
কেকে/বি