রাজধানীর তুরাগের ডিয়াবাড়ি কালা মার্কেট এলাকায় পুলিশের সামনেই জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতাদের ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে আওয়ামী লীগের কর্মীদের বিরুদ্ধে।
বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাত ১১ টার দিকে এই ঘটনা ঘটে।
হামলায় এনসিপির তুরাগ থানা যুব শক্তির মুখ্য সংগঠক (সম্ভাব্য) আলমগীর নামে একজন গুরুতর আহত হয়ে কুয়েত বাংলাদেশ মৈত্রী হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।
আলমগীর হোসেন বলেন, ‘আমি আমার নেতাকর্মীদের নিয়ে ১১ নাম্বারে একটি মিটিং করতেছিলাম, এ সময় ডিয়াবাড়ি এলাকার মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর নামে এক ব্যক্তি আমাকে ফোন করে জানায়, তার বাড়িতে সন্ত্রাসী হামলা হচ্ছে, উনার অন্তঃসত্ত্বা বোনকে মারধর করেছে। খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে যাই এবং পুলিশের সহায়তা নেই। বিষয়টি নিয়ে এলাকার মুরুব্বী ও পুলিশ আজকে বসার তারিখ নির্ধারণ করে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বৈঠক থেকে উঠে আসার সময় তুরাগ থানা আওয়ামী লীগের অর্থ সম্পাদক নূর হোসেনের ভাতিজা ও তার আত্মীয়-স্বজনসহ অন্তত ৫০ জন আওয়ামী সমর্থক আমাকে টার্গেট করে হামলা করে। এ সময় আমার ঘাড়ে হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করলে আমি অচেতন হয়ে পড়লে ঘটনাস্থলে থাকা পুলিশের সহযোগিতায় আমাদের লোকজন আমাকে কুয়েত বাংলাদেশ মন্ত্রী হাসপাতালে নিয়ে আসেন। এ হামলায় জাহাঙ্গীর নামে আরেক ব্যক্তি আহত হয়েছেন। এছাড়াও এনসিপির আরও কয়েকজন সদস্য আহত হয়েছেন।’
আলমগীর হোসেন জানান, হামলায় অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে রয়েছে ৫ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মোখলেছের ছেলে মিজান, নাগর আলীর ছেলে কামাল, সিরাজুল ইসলামের ছেলে রকি, লাল মিয়ার ছেলে কাউসার। এছাড়াও শাহীন, শান্ত, সুমন, ফেরদাউসসহ অন্তত ৫০ জন এই হামলায় অংশগ্রহণ করে।
ভুক্তভোগী জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘আমাদের জমি-জমা সংক্রান্ত একটা ঝামেলা রয়েছে। আওয়ামী লীগের লোকজন আমাদের কাজ করতে দিচ্ছেন না। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে আমার ৮ মাসের অন্তঃসত্ত্বা বোনকে তারা মারধর করে। এই বিষয়ে আমি তুরাগ থানায় অভিযোগ দায়ের করি। বিষয়টি আমি এনসিপির নেতা আলমগীর ভাইকে জানাই। উনি ঘটনাস্থলে এসে পুলিশসহ এলাকাবাসীর সহযোগিতায় আজ বিষয়টি নিয়ে একটি শালিসের বসার কথা ছিল। কিন্তু আলমগীর ভাই চলে যাওয়ার মুহূর্তে পুলিশের সামনে হঠাৎ হামলা চালায় আওয়ামী লীগের লোকজন।’
এই বিষয়ে তুরাগ থানায় মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
জানতে চাইলে তুরাগ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মনিরুল ইসলাম খোলা কাগজকে বলেন, ‘মারামারির ঘটনার বিষয়টি আমি শুনেছি। ওখানে আমাদের পুলিশ সদস্য উপস্থিত ছিল। বিষয়টি মীমাংসা করার চেষ্টা হয়েছে। এ বিষয়ে তদন্ত চলছে। তবে লিখিত কোন অভিযোগ এখনও আমরা পাইনি। পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
কেকে/ এমএ