রাজশাহীর তানোরে ডাকাতির ঘটনায় ৮ ডাকাতকে গ্রেফতার করেছে রাজশাহী জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। এ সময় তাদের কাছ থেকে লুণ্ঠিত স্বর্ণালঙ্কার, মোটরসাইকেল ও নগদ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে।
গ্রেফতারকৃত এক ডাকাত মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সকালে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।
মঙ্গলবার সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিএসবি) মুখপাত্র মো. রফিকুল আলম।
তিনি জানান, গত ৫ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে ৩টায় মালশিরা গ্রামের মো. মোয়াজ্জেমুল হোসেনের বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। ডাকাতরা বাড়ির প্রধান দরজা ভেঙে ঢুকে পরিবারের সদস্যদের হাত, পা ও মুখ গামছা দিয়ে বেঁধে ফেলে। এ সময় তারা ৪টি মোবাইল ফোন, নগদ ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা, স্বর্ণের চেইন, কানের দুল, হাতের আংটি ও একটি মোটরসাইকেল লুট করে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় মো. মোয়াজ্জেমুল হোসেন বাদী হয়ে তানোর থানায় অজ্ঞাতনামা ৬-৮ জনের বিরুদ্ধে ডাকাতি মামলা দায়ের করেন।
মামলার পর এই ডাকাতির ঘটনার সাথে জড়িত ৮ ডাকাতকে গ্রেফতার করে ওসি (ডিবি) মো. আরিফ আলীর নেতৃত্বে এসআই মোঃ স্বপন হোসেনের নেতৃত্বে একটি টিম।
গ্রেফতারকৃতরা হল মো. শাহাদত হোসেন কলম (৩৩), মো. শান্ত ইসলাম (২৬), মো. বেলাল হোসেন (৩০), মো. শুকুর আলী (৫২), মো. শাকিল হোসেন (৪০), মো. রানা হোসেন (২৪), মো. রাসেল হোসেন (২২), মো. এখলাছ রহমান মিন্টু (৪২)।
গ্রেফতারকৃত ৭জনকে জয়পুরহাটের আক্কেলপুর থানাধীন তিলকপুর রেলওয়ে স্টেশন সংলগ্ন মো. লিটন মোল্লার ভাড়া দেওয়া বাড়ি থেকে এবং মো. এখলাছ রহমান মিন্টুকে নওগাঁ সদর থানাধীন ইদুর বটতলা গ্রামে মনোরমা জুয়েলার্স থেকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত ডাকাত মো. শুকুর আলী সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) রাজশাহীর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় তার অপরাধ স্বীকার করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। জবানবন্দিতে সে ডাকাতির বিস্তারিত বিবরণ দিয়েছে।
ডিবি পুলিশ জানিয়েছে, গ্রেফতারকৃত সব অভিযুক্তই একটি আন্তঃবিভাগীয় ডাকাত দলের সক্রিয় সদস্য এবং তারা রাজশাহী বিভাগের বিভিন্ন জেলায় ডাকাতির ঘটনা ঘটিয়েছে।
তাদের বিরুদ্ধে রাজশাহী বিভাগের বিভিন্ন জেলায় চুরি, দস্যুতা ও ডাকাতির অভিযোগে একাধিক মামলা রয়েছে।
এ ডাকাতির ঘটনায় জড়িত অন্য অভিযুক্তদের গ্রেফতার এবং লুণ্ঠিত আরও মালামাল উদ্ধারের চেষ্টা অব্যাহত আছে বলে জানিয়েছে জেলা ডিবি পুলিশ।
কেকে/ এমএ