নওগাঁ জেলার রাণীনগর উপজেলার বরগাছা ইউনিয়নের গ্রাম ভাদালিয়া। ভাদালিয়া গ্রামের দুটি রাস্তা পাকাকরণ ও জলাবদ্ধতা নিস্কাশন প্রয়োজন। রাস্তা দুটি হচ্ছে দিঘিরপার লক্ষিকোলা পাকা মেইন সড়ক থেকে খেলার মাঠ হয়ে ভাদালিয়া গ্রমের পুরাতন মসজিদের পুকুরের উত্তর পশ্চিম কোনা পর্যন্ত এবং মেইন সড়ক থেকে সরকারি স্কুল হয়ে ঈদগাহ মাঠ পর্যন্ত।
গ্রামের দুটি রাস্তা যুগ যুগ ধরে কাঁচা থাকায় গ্রামবাসীর কষ্টের শেষ নেই। যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো না হওয়ায় গ্রামটির উন্নয়ন, শিক্ষা, চিকিৎসা ও কৃষি পণ্যের ন্যায্য মুল্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছে গ্রামবাসী।
জানা গেছে, উপজেলার ভাদালিয়া গ্রামে হাজারেরও বেশি মানুষের বসবাস। গ্রামের লোকজনদের বছরের প্রায় অর্ধেক সময় থাকতে হয় পানিবন্দি অবস্থায়। বর্ষাকালে আঠাল মাটির কাদায় চলাচলের অনুপযোগী কাঁচা রাস্তার ফলে চরম দুর্ভোগের পাশাপাশি সময়ও বহু বেশি লাগে। তাছাড়াও মাঠে পনি থাকায় ধান চাষও হয় না।
কৃষক আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘আমরা বহু কষ্ট করি। কিন্তু সামান্য বৃষ্টি হলেই মাঠে পানি জমে থাকে। পানি বের হতে না পারার জন্য ধান চাষ করতে পারি না। যার ফলে আমাদের অনেক ক্ষতি হয়।’
স্কুলছাত্র আরিফ বলেন, ‘বছরের অর্ধেক সময় পানি আর অর্ধেক সময় শুষ্ক থাকে। সামান্য বৃষ্টিতে কাঁচা রাস্তা কাদা হয়ে যায়। রাস্তার বেহাল অবস্থার কারণে মাঝে মধ্যে স্কুলে যাওয়া হয় না।
গ্রামের যুবক শফিকুল ইসলাম জানান, রাস্তা না থাকায় আমরা প্রতিনিয়ত চরম ভোগান্তির মধ্যে দিন কাটাচ্ছি। আমার নিজের মোটরসাইকেল থাকলেও গ্রামের বাড়িতে আনতে পারি না। পাশের গ্রামে রেখে পাঁয়ে হেটে বাড়িতে আসতে হয়। অ্যাম্বুলেন্স, ফায়ার সার্ভিস, পুলিশসহ কোনো গাড়িই গ্রামে ঢুকতে পারে না। এমনকি সাইকেল ও ভ্যানও চলে না।
আরেক বাসিন্দা কাশেম জানান, যোগাযোগব্যবস্থা ভালো না হওয়ায় এ গ্রামে কেউ আত্মীয়তা করতে চায় না। আত্মীয়-স্বজনরাও আসতে চায় না। রাস্তা নিয়ে গ্রামবাসী চরম ভোগান্তির মধ্যে আছে। আমাদের মাঠে সামান্য বৃষ্টি হলে পানি জমে থাকে। যার ফলে ধান চাষ করা যায় না।
এ বিষয়ে বরগাছা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল মতিন বলেন, ‘কাঁচা রাস্তা দুটি নিয়ে গ্রামবাসীর ভোগান্তির শেষ নেই। তাছাড়াও মাঠে পানি জমে থাকার কারণে ধান চাষও হয় না। দ্রুত রাস্তা পাকাকরণ ও মাঠের পানি নিস্কাশনের জন্য সাধ্যমতো চেষ্টা করছি।’
কেকে/ এমএ