নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলায় মানব পাচারচক্রের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ১ চীনা নাগরিকসহ ২ জনকে আটক করেছে পুলিশ। এ সময় ৩ তরুণীকে উদ্ধার করা হয়।
রবিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় কেন্দুয়া পৌরসভার কমলপুর এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটে।
আটককৃতরা হলেন- চীনা নাগরিক লি ওই হাও এবং তার সহযোগী কুড়িগ্রামের রাজারহাটের সুখদেব পশ্চিমপাড়া গ্রামের আব্দুল হানিফ মিয়ার ছেলে দালাল মো. ফরিদুল ইসলাম।
পুলিশ জানায়, গত ১ সেপ্টেম্বর স্থানীয় গার্মেন্টস কর্মী আলফা আক্তার চীনা নাগরিক লি ওই হাও-কে বিয়ে করেন। বিয়ের সময় তিনি আলফার পরিবারকে মৌখিকভাবে আশ্বাস দেন যে, আগামী ২০ সেপ্টেম্বর তিনি স্ত্রীকে নিয়ে চীনে ফিরবেন এবং এর বিনিময়ে এক লক্ষ টাকা প্রদান করবেন। এ লক্ষ্যে লি ওই হাও ও তার সহযোগীরা আলফার বাড়িতে আসেন।
এ সময় স্থানীয়রা সন্দেহজনক আচরণ লক্ষ্য করে লি ওই হাওয়ের বৈধ কাগজপত্র ও পাসপোর্ট দেখতে চান। তিনি বৈধ ডকুমেন্ট দেখাতে ব্যর্থ হন। একই সাথে তার সহযোগী ফরিদুল ইসলামও সন্তোষজনক জবাব দিতে পারেননি। ফলে এলাকাবাসী তাদের অবরুদ্ধ করে পুলিশে খবর দেন। পরে কেন্দুয়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে চীনা নাগরিক ও তার দালালকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তাদের কথাবার্তা সন্দেহজনক হওয়ায় মানব পাচার সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে আটক করা হয়।
উদ্ধারকৃত তিন তরুণীরা হলেন- নেত্রকোনা জেলার কেন্দুয়া পৌরসভার কমলপুর গ্রামের রুবেল মিয়ার মেয়ে আলফা আক্তার, মোজাফরপুর ইউনিয়নের গগডা গ্রামের মহর উদ্দিনের মেয়ে লিজা আক্তার ও জামালপুরের মেলান্দহের গোপী নদী গ্রামের মৃত. বছর উদ্দিনের মেয়ে বৃষ্টি।
থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জানান, আটককৃতদের বিরুদ্ধে মানব পাচার আইনে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। এছাড়া আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
কেকে/বি