চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার বেনীপুর সীমান্তে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে ভারতে আটক ১১ বাংলাদেশি নারী-পুরুষ ও শিশুকে বিজিবির হাতে তুলে দিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)।
বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) রাতে সীমান্তের ৬১/৭ এস পিলারের সন্নিকটে অনুষ্ঠিত এ পতাকা বৈঠকে ভারতের নোনাগঞ্জ ক্যাম্পের বিএসএফ বেনীপুর বিওপির কোম্পানী কমান্ডারের হাতে তাদেরকে তুলে দেন।
বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) বিজিবি তাদেরকে জীবননগর থানায় সোপর্দ করেছে।
আটককৃতরা হলেন মুন্সীগঞ্জ জেলার সিরাজদীখান উপজেলার বড়শিকারপুর গ্রামের গৌরাঙ্গ মন্ডলের ছেলে মিঠুন মন্ডল (৪৪), স্ত্রী কবিতা মন্ডল (৩৮), তিন মেয়ে অনিকা মন্ডল (১৭), অন্তরা মন্ডল (১২) ও মিষ্টি মন্ডল (৯), মাগুড়া জেলার শালিখা উপজেলার ছাবড়ী গ্রামের পরিমল বিশ্বাসের ছেলে প্রবীন বিশ্বাস (৩৯), স্ত্রী অপর্না বিশ্বাস (৩৬) ও মেয়ে প্রিয়সী বিশ্বাস (১০), ঢাকা জেলার কেরানীগঞ্জের সিরাজ হাজারী বাড়ি এলাকার নুর ইসলামের মেয়ে সোহাগী আক্তার (৪০), ঢাকার কোতয়ালী থানার আহসানুল্লাহ রোডের বাসিন্দা আল আমিনের স্ত্রী মীম (১৯) ও সাতক্ষীরা সদর উপজেলার জাহানাবাদ গ্রামের আব্দুল মাজেদের মেয়ে তাসলিমা (৪১)।
মহেশপুর-৫৮ বিজিবি ব্যাটালিয়নের সহকারী পরিচালক মুন্সী ইমদাদুর রহমান প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছেন, অবৈধভাবে বাংলাদেশে প্রবেশকালে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার ১৯৪ ব্যাটালিয়নের অধীনস্থ নোনাগঞ্জ ক্যাম্পের বিএসএফ ১১জন নারী-পুরুষ ও শিশুকে আটক করে। আটকৃতরা বিএসএফকে জানায়, তারা অবৈধ পথে ভারতে ঢুকেছ এবং মুম্বাই শহরের বাসা-বাড়িতে গৃহকর্মীসহ দিন মজুরের কাজ করতো। দেশে ফেরার পথে তারা বিএসএফের হাতে আটক হয়। নাম-ঠিকানা ভারতের নোনাগঞ্জ ক্যাম্পের বিএসএফ বেনীপুর বিওপিকে আটককৃত বাংলাদেশিদের ফেরত নেওয়ার নেওয়ার জন্য জানায়। বুধবার রাত ১১টা ৪০ মিনিটের দিকে সীমান্তের ৬১/৭ নম্বর এস পিলারের সন্নিকটে বিজিবি-বিএসএফ পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এ পতাকা বৈঠকের পর বিএসএফ আটক ১১জন নারী-পুরুষ ও শিশুকে বেনীপুর কোম্পানি কমান্ডার নায়েব সুবেদার মো. ওবায়দুল্লাহর হাতে তুলে দেয়।
জীবননগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মামুন হোসেন বিশ্বাস বলেন, ‘বিজিবি ১১জন বাংলাদেশিকে থানায় হস্তান্তর করেছে। তাদের বিষয়ে পরবর্তী নেওয়া হচ্ছে।’
কেকে/ এমএ