বৃহস্পতিবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৫,
১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
বাংলা English
ই-পেপার

বৃহস্পতিবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৫
শিরোনাম: বৃহস্পতিবারের উল্লেখযোগ্য সাত সংবাদ      ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘ডিটওয়াহ’      নির্বাচনে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মাঠে থাকবে সেনাবাহিনী : ইসি সচিব      ৪৫তম বিসিএস নন-ক্যাডারের ফল প্রকাশ, সুপারিশ পেলেন ৫৪৫ জন      বন বিভাগে সুফল প্রকল্পে দুর্নীতি, দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তার দাম্ভিকতা      ফসলের ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত হলে কৃষি অর্থনীতি টেকসই হবে : কৃষি সচিব      ধর্মের অপব্যাখ্যা করে বিশৃঙ্খলা তৈরির সুযোগ দেয়া হবে না : ধর্ম উপদেষ্টা      
আন্তর্জাতিক
নেপালের প্রধানমন্ত্রী হতে যাওয়া কে এই সুশীলা কার্কি?
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: বুধবার, ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ৯:২৪ পিএম
সংগৃহীত ছবি

সংগৃহীত ছবি

জেন-জি তরুণদের আন্দোলনে কেপি শর্মা অলির সরকারের পতনের পর নেপালে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নেতৃত্বে আসতে পারেন দেশটির সাবেক প্রধান বিচারপতি সুশীলা কার্কি। বিক্ষোভকারীদের পছন্দের প্রার্থী কার্কি ভারতের উত্তরপ্রদেশের বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয় (বিএইচইউ) থেকে পড়াশোনা করেছেন। তিনি নেপালের সুপ্রিম কোর্টের প্রথম এবং একমাত্র নারী প্রধান বিচারপতি ছিলেন। দুর্নীতির মামলায় এক মন্ত্রীর কারাদণ্ড-সহ একাধিক ঐতিহাসিক রায়ের জন্য দেশটিতে ব্যাপক পরিচিত তিনি।
 
নেপালের প্রবীণ আইন বিশেষজ্ঞ কার্কি দুর্নীতির বিরুদ্ধে নিজের কঠোর অবস্থানের জন্য জনপ্রিয়। দেশটিতে দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিষেধাজ্ঞার কারণে তরুণরা রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ করেন। দু’দিনের তীব্র আন্দোলনের মুখে মঙ্গলবার দেশটির প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা অলি পদত্যাগে বাধ্য হন।

গত জুলাইয়ে দেশটির সংবাদমাধ্যম দ্য হিমালয়ান টাইমসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে কার্কি বলেছিলেন, তিনি এখনও বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যায়ে কাটানো সময়ের স্মৃতি মনে করে আবেগাপ্লুত হন। সেখানে তিনি শুধু পড়াশোনাই করেননি, নাচ শেখার সুযোগও পেয়েছিলেন। তিনি বলেন, বিএইচইউ থেকে চাকরির প্রস্তাব পেলেও তার গন্তব্য ছিল ভিন্ন।

নেপালের একাধিক সূত্র বলেছে, বুধবার জেন-জি বিক্ষোভকারীদের নেতারা সুশীলা কার্কিকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান করার সিদ্ধান্তে ঐকমত্যে পৌঁছেছেন।

কীভাবে কার্কিকে বেছে নিলেন জেন-জিরা?

বুধবার নেপালের জেন-জিবিক্ষোভকারীরা নতুন সরকারের সম্ভাব্য নেতৃত্ব নিয়ে আলোচনার জন্য একটি ভার্চুয়াল বৈঠক করেন। প্রায় চার ঘণ্টার এই বৈঠকে ৫ হাজারের বেশি সদস্য অংশ নেন এবং তাদের বেশিরভাগই সুশীলা কার্কির পক্ষে সমর্থন জানান।

জেন-জি নেত্রী রক্ষা বাম দেশটির সাংবাদিক ভদ্র শর্মাকে বলেছেন, ‘‘আমরা নতুন সরকারের প্রধান হিসেবে সুশীলা কার্কির নাম প্রস্তাব করেছি। সেনাপ্রধানের সঙ্গে আলোচনা শেষে আজই এ প্রস্তাবকে আনুষ্ঠানিক রূপ দেওয়া হবে।’’

প্রতিবেদন অনুযায়ী, কাঠমান্ডুর মেয়র বালেন শাহের সঙ্গে যোগাযোগ করলেও তিনি ইতিবাচক সাড়া দেননি। প্রথমে তাকে নেপালের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের শীর্ষ প্রার্থী হিসেবে বিবেচনা করেছিলেন জেন-জি আন্দোলনকারীরা।

সাহসী বিচারক হিসেবে খ্যাতি, কারাদণ্ড দেন মন্ত্রীকেও

২০১৬ সালে নেপালের প্রথম নারী প্রধান বিচারপতি হিসেবে দায়িত্ব নেন কার্কি। সততা এবং ব্যক্তি স্বাধীনতার জন্য নির্ভীক বিচারক হিসেবে পরিচিতি পান তিনি। ১৯৭৯ সালে বীরাটনগরে আইনজীবী হিসেবে তার পেশাজীবনের শুরু হয়।

এরপর পর্যায়ক্রমে পদোন্নতি পেয়ে ২০০৯ সালে দেশটির সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হন এবং পরবর্তীতে ইতিহাস গড়েন। তার নিয়োগের সময়টি নেপালের জন্য প্রতীকী মুহূর্ত ছিল। কারণ সেই সময় নেপালের তিনটি সর্বোচ্চ পদ—রাষ্ট্রপতি, সংসদের স্পিকার এবং প্রধান বিচারপতি—সবগুলোই নারীদের হাতে ছিল।

দেশটির সদ্য পদত্যাগ করা প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা অলির নেতৃত্বাধীন সাংবিধানিক কাউন্সিল সুশীলা কার্কিকে প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দিয়েছিল।

ভারতে পড়াশোনা এবং অভিশংসনের মুখোমুখি

নেপালের সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতির দায়িত্ব পালনের সময় কার্কি বেশ কিছু ঐতিহাসিক রায় দেন; যা তাকে সংস্কারপন্থী হিসেবে পরিচিত করে তোলে। দুর্নীতির দায়ে দেশটির ক্ষমতাসীন সরকারের মন্ত্রী জয়া প্রকাশ গুপ্তকে দোষী সাব্যস্ত করেন তিনি। নেপালের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ক্ষমতাসীন কোনও মন্ত্রীকে দুর্নীতির মামলায় কারাগারে পাঠানোর ঘটনা ছিল এটি।

তিনি শান্তিরক্ষী মিশনে দুর্নীতি থেকে শুরু করে বিতর্কিত নিজগড় ফাস্ট ট্র্যাক প্রকল্প পর্যন্ত বিভিন্ন ধরনের গুরুত্বপূর্ণ ও সংবেদনশীল মামলার রায় ঘোষণা করেছিলেন। পাশাপাশি নারীদের সন্তানের নাগরিকত্ব দেওয়ার অধিকার সম্পর্কিত প্রগতিশীল রায়ও দিয়েছেন তিনি।

সুশীলা কার্কি ১৯৭৫ সালে ভারতের বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয় (বিএইচইউ) থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। ১৯৭৮ সালে তিনি নেপালের ত্রিভুবন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইন বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রি নেন।

২০১৭ সালে কিছু রায়ের কারণে সরকারের বিরাগভাজণে পরিণত হন তিনি। সেই সময় ক্ষমতাসীন জোট দেশটির পার্লামেন্টে তার বিরুদ্ধে অভিশংসন প্রস্তাব উত্থাপন করে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য হিন্দু বলছে, এই অভিশংসন প্রস্তাবে তার বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্ব ও নির্বাহী ক্ষমতায় হস্তক্ষেপের অভিযোগ আনা হয়েছিল। বিশেষ করে পুলিশপ্রধান নিয়োগ সংক্রান্ত এক বিরোধের কারণে তিনি এমন পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছিলেন।

কেকে/এজে
আরও সংবাদ   বিষয়:  নেপালের প্রধানমন্ত্রী   সুশীলা কার্কি  
মতামত লিখুন:

সর্বশেষ সংবাদ

ফরিদপুরে ভুয়া ম্যাজিস্ট্রেট আটক, ১৫ দিনের কারাদণ্ড
বৃহস্পতিবারের উল্লেখযোগ্য সাত সংবাদ
তরুণ, যুব ও মেধাবী ছাত্র সমাজকে রক্ষায় সুস্থ সংস্কৃতি জরুরি: রায়হান সিরাজী
৫ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে বাংলাদেশ
ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘ডিটওয়াহ’

সর্বাধিক পঠিত

নাগেশ্বরীতে ১০ টাকার স্বাস্থ্য সেবা চালু
চাঁদপুর-২ আসনে মনোনয়ন পুনর্বিবেচনা রয়েছে: তানভীর হুদা
দুই ট্রলারসহ সেন্টমার্টিনে ১২ জেলেকে ধরে নিয়ে গেছে আরাকান আর্মি
দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা শ্রীমঙ্গলে ১২.৫ ডিগ্রি
গাজীপুরে রেলওয়ে স্টেশন পরিদর্শনে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী

আন্তর্জাতিক- এর আরো খবর

সম্পাদক ও প্রকাশক : আহসান হাবীব
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : বসতি হরাইজন, ১৭-বি, বাড়ি-২১ সড়ক-১৭, বনানী, ঢাকা-১২১৩
ফোন : বার্তা-০২২২২২৭৬০৩৭, মফস্বল-০২২২২২৭৬০৩৬, বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন-০২২২২২৭৬০২৯, ০১৭৮৭৬৯৭৮২৩, ০১৮৫৩৩২৮৫১০ (বিকাশ)
ই-মেইল: [email protected], [email protected]

© 2025 Kholakagoj
🔝
close