ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির চরমোনাই পীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম বলেন, পুরাতন স্বৈরাচারী ব্যবস্থাকে বাতিল করে নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত প্রতিষ্ঠা করে তারপর নির্বাচন দিতে হবে। সংসদের প্রস্তাবিত উভয়কক্ষে সংখ্যানুপাতিক পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন দিতে হবে।
মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) বিকাল ৩টায় ক্যান্টনমেন্টের ইসিবি চত্ত্বর মহারাজ কমিউনিটি সেন্টারে জাতীয় উলামা মশায়েখ আইম্মা পরিষদ ঢাকা মহানগর উত্তরের উদ্যোগে ‘ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইসলামপন্থীদের ঐক্য ও উলামায়ে কিরামে করণীয় শীর্ষক’ আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
ঢাকা মহানগর উত্তরের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক মাস্টার ওয়ারেন্ট অফিসার অব. আলহাজ্ব আমিরুল হক তালুকদারের সভাপতিত্বে ও মুফতী ফরিদুল ইসলামের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, মুফতী হেমায়েতুল্লাহ কাসেমী।
অন্যান্যের মধ্যে আরও বক্তব্য রাখেন, মুফতি ফয়জুল্লাহ, ঢাকা-১৭ আসনের সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী মুফতী ডা. মুহাম্মাদ উল্লাহ আনসারী, মুফতী মো. মাছউদুর রহমান, ইঞ্জিনিয়ার গিয়াস উদ্দিন পরশ, মাওলানা আব্দুল কুদ্দুস রশিদী, মাওলানা মাহমুদুল হাসান, মুফতি আবুল কালাম আজাদ আনোয়ারী, হাফেজ ইব্রাহিম বিন আলী, মাওলানা মুজিবুর রহমান ফারুকী, মুফতি তাজুল ইসলাম আবরারী, মাওলানা আব্দুল লতিফ ফারুকী, হাফেজ মাওলানা মুহাম্মদুল্লাহ নাহিদ, আলী হোসেন প্রমুখ।
তিনি আরো বলেন, আগামী দিনে বাংলাদেশে যাতে কোন নির্বাচিত স্বৈরাচার, দুর্নীতিবাজ, লুটেরা ও সন্ত্রাসী শ্রেণি রাষ্ট্রক্ষমতাকে ব্যবহার করে জনগণের অধিকার কেড়ে নিতে না পারে, রাষ্ট্রের সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে দলীয়করণের মাধ্যমে ধ্বংস করতে না পারে এবং একদলীয় কর্তৃত্ববাদী শাসন কায়েম করতে না পারে, সে জন্য প্রয়োজনীয় মৌলিক সংস্কার করে নির্বাচন দিতে হবে। তাহলে দেশ সুন্দর হবে, দেশের মানুষ নিরাপত্তা ও শান্তিতে থাকতে পারবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মাওলানা গাজী আতাউর রহমান ঐক্যমত্য কমিশনকে উদ্দেশ্য করে বলেন, প্রায় দেড় হাজার শিশু-কিশোর, ছাত্র-যুবক জীবন দিয়েছে রাষ্ট্র সংস্কার ও সকল ধরণের বৈষম্য দূর করার জন্য। বিশ হাজার আহত এখনো সুচিকিৎসা পায়নি। সংস্কার অসম্পূর্ণ, খুনিদের বিচার দৃশ্যমান হয়নি। ফ্যাসিস্টরা এখনো মিছিল বের করে, রাস্তায় ঘুরে বেড়ায়। অথচ তাদেরকে গ্রেফতার করে বিচারের আওতায় আনা হচ্ছেনা। পুলিশসহ প্রশাসনের সর্বত্র আওয়ামী দোসররা এখনো বহাল তবিয়তে আছে। অতএব প্রয়োজনীয় সংস্কার ও খুনীদের বিচার ব্যতীত কোনভাবেই নির্বাচনের আয়োজন করা যাবে না।
কেকে/এজে