গাইবান্ধার সাঘাটায় বাড়ী থেকে ডেকে নিয়ে মিলন ইসলাম (২৪) নামে এক যুবককে অপহরণ করে মুক্তিপণ দাবির অভিযোগ উঠেছে। গত রবিবার সকালে উপজেলার ঘুড়িদহ ইউনিয়নের মথরপাড়ায় গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটে। এ বিষয়ে সাঘাটা থানায় এজাহার দায়ের করেছে ভুক্তোভোগীরা।
এজাহার সুএে জানা যায়, সাঘাটা উপজেলার মথরপাড়া গ্রামের ফকিরা ওরফে তছলিম উদ্দিনের ছেলে মিলন ইসলাম। অপহৃত মিলন ইসলামের বড় ভাই আলমগীর ইসলাম বাদিয়াখালী দুঃস্থ মাতা মহিলা সমিতির নির্বাহী পরিচালক। উক্ত সমিতির কার্যক্রম পরিচালনার উদ্দেশ্যে মথরপাড়া মাদারদহ বাজারের শরিফুল ইসলামের স্থাপিত মার্কেটসহ জমি ক্রয়ের জন্য বায়না সম্পাদন করেন। এরপর থেকে একই ইউনিয়নের যাদুরতাইড় গ্রামের মৃত আশরাফ উদ্দিনের ছেলে ফুয়াদ হোসেন ও মথরপাড়া গ্রামের মৃত আইজল রহমানের ছেলে তানজিল মিয়া বিভিন্ন সময় ১০ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করাসহ আলমগীর ইসলামের পরিবারের লোকজনের গতিবিধি অনুসরণ করতে থাকেন।
গত ৩১ আগষ্ট ভোরে একই এলাকার ফুয়াদ ও তানজিল নামের ২ যুবক কৌশলে মিলনকে ডেকে নিয়ে জোরপূর্বক মোটরসাইকেলে উঠিয়ে তাদের পূর্ব পরিকল্পিত নির্জন স্থানে নিয়ে যায়। পরে অপহরণকারীরা মিলনের বড় ভাই আলমগীর ইসলামসহ তার পরিবারের লোকজনের মোবাইলে ফোন দিয়ে ১০ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। তাদের দাবিকৃত মুক্তিপণের টাকা দিতে অপারগতাসহ সময়ক্ষেপন করলে মিলনকে মারপিট সহ শারীরিক, মানসিক ও হত্যার হুমকি দেয়। এক পর্যায়ে মিলনের বাবা তার ছেলের মুক্তির জন্য পাঁচ লক্ষ টাকা দিতে চায়।
এদিকে অপহরণকারীরা টাকা নিয়ে একা মথরপাড়া চোরকাটা ব্রিজ সংলগ্ন তানজিলের আড্ডা খানায় যেতে বলে। নিরুপায় হয়ে তিনি তার ছেলের জন্য ৫ লক্ষ টাকা নিয়ে তানজিলের আড্ডা খানায় গিয়ে ফুয়াদের হাতে দেয়। অপহরনকারীরা টাকা নিয়ে মিলন ইসলামকে পার্শ্ববর্তী হেলেঞ্চা হাইরানদহ নামক নির্জন ভিটার মাঝে রেখে যায়। পরে মিলনের চাচা সাহেব মিয়া সেখান থেকে মিলনকে অসুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করে সাঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। পরে মিলনের বাবা ফকিরা ওরফে তছলিম উদ্দিন বাদী হয়ে ফুয়াদ, তানজিল সহ অজ্ঞাত ১৫/১৬ জনের নামে আসামি করে থানায় এজাহার দায়ের করেন।
এ ব্যাপারে সাঘাটা থানা অফিসার ইনচার্জ বাদশাহ আলম জানান, এজাহার পেয়েছি, তদন্তের দায়িত্ব এস আই কে দিয়েছি। সত্যতা পাওয়া গেলে তদন্ত সাপেক্ষে ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত সকলের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
কেকে/ আরআই