যশোরের কেশবপুর-কলাগাছি সড়ক ভেঙে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়ে লক্কড়-ঝক্কড়ে পরিণত হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে চলছে এ অবস্থা। বৃষ্টি হলে গর্ত পানিতে ভরে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ওই সময় বিকল্প সড়ক দিয়ে পথচারীদের যাতায়াত করতে হয়। গত ১ বছর ধরে এ অবস্থা চলছে বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ।
সড়কটির হারেজ খানের ইটভাটা থেকে মাগুরাডাঙ্গা ঈদগাহ পর্যন্ত ভেঙে চলাচলের চরম দুর্ভোগে পড়েছে। বড় বড় গর্তের কারণে ইজিবাইক ও ভ্যান চলাচল করছে বিকল্প সড়ক ধরে। পথচারীদের অভিযোগ বৃষ্টি হলে সড়কটি দিয়ে পায়ে হেঁটে যাওয়ারও উপায় থাকে না। গর্তে পানি জমে হাঁটু সমান হয়ে পড়ে।
এই সড়কে নিয়মিত যাতায়াতকারী বেলকাটি গ্রামের সিদ্দিকুর রহমান বলেন, সড়কে বড় বড় গর্তের কারণে যাতায়াতে তাদের চরম ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে। পাঁজিয়া গ্রামের ভ্যানচালক হাফিজুর রহমান বলেন, সড়কটি ভেঙে যাওয়ায় কোনো যাত্রী সহজে ভ্যানে উঠতে চায় না। বাধ্য হয়ে যাত্রী নিয়ে বিকল্প সড়ক ধরে কেশবপুরে যেতে হয়। সড়কে চলাচলকারী উপজেলার মূলগ্রামের আব্দুল খালেক বলেন, সড়কটি ভেঙে লক্কড়-ঝক্কড় হয়ে গেছে। ভ্যানে উঠলে এ পাশ ও পাশ খেলে যাওয়ার মতো হয়। অনেকে ভ্যান থেকে পড়ে আহত হয়েছেন। ইজিবাইক চালকরা বলেন, রাস্তাটি নষ্ট হওয়ায় গাড়ি নিয়ে বড়েঙ্গা সড়কের বর্ষাখোড়ার মোড় হয়ে গ্রামের ভেতর দিয়ে সড়কের মাগুরাডাঙ্গা ঈদগাহের কাছে উঠতে হচ্ছে। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে দেখার কেউ নেই। সড়কটি দ্রুত সংস্কার না হলে তাদের পড়তে হবে চরম বেকায়দায়।
কেশবপুর সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন জানান, এ সড়কটি দিয়ে প্রতিদিন প্রায় ৫০ থেকে ৬০ হাজার মানুষসহ কয়েক শ’ গাড়ি চলাচল করে থাকে। দুর্ভোগের কথা ভেবে উপজেলা সমন্বয় কমিটির সভায় দ্রুত খোয়া দিয়ে গর্ত ভরাট করে চলাচলের উপযোগী করার কথা বলা হয়েছে। ইতোমধ্যে কিছু গর্ত ভরাট করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকৌশলী মো. নাজিমুল হক বলেন, সড়কটি উঁচুসহ সংস্কার করা প্রকল্প অনুমোদন হয়েছে। খুব শিগগিরই ঠিকাদারের মাধ্যমে সড়কটি সংস্কার করা হবে।ৎ
কেকে/এএস