ভিসা প্রতারণার ফাঁদে পরে সাড়ে আঠারো লাখ টাকা খুঁইয়ে প্রতারকের বাড়িতে অনশন করেছেন সিঙ্গাপুর ফেরত এক প্রবাসী যুবক।
সোমবার (২৫ আগস্ট) নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার বাহাগিলি ইউনিয়নে এ অনশন শুরু করেন প্রতারণার শিকার ভুক্তভোগী মো. আসাদুজ্জামান।
প্রতারক জসিম মিয়া উপজেলার দক্ষিণ বাহাগিলি ডাঙ্গাপাড়া গ্রামের মো. সেগেন উদ্দিনের ছেলে।
জানা যায়, দুপুর সাড়ে বারোটা থেকে সাড়ে তিনটা পর্যন্ত ভুক্তভোগী মো. আসাদুজ্জামান খোয়ানো টাকা ফেরত পেতে প্রতারক জসিমের বাড়িতে অনশন শুরু করেন। তার বাড়ি ঠাকুরগাঁও জেলার রাণীশংকাইল উপজেলার মুজাহিদাবাদ গ্রামে।
কিশোরগঞ্জ থানা পুলিশ সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে এস আই আলমগীর হোসেনকে পাঠিয়ে ভুক্তভোগীকে থানায় নিয়ে আসে।
ভুক্তভোগী আসাদুজ্জামান বলেন, একই এলাকার প্রতারক জসিম ও জাকির সাথে প্রায় ১ বছর আগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পরিচয় হওয়ার পর তারা জানায় দুজন বর্তমান কানাডা প্রবাসী। ওই দেশে আমি ও আমার বন্ধুরা কানাডা গিয়ে চাকুরি করার ইচ্ছার কথা বললে তারা বিকাশে টাকা চায়। সরল বিশ্বাসে ২০২৪ সালের মার্চ মাসে আমরা ২৫ হাজার ৯০০ টাকা বিকাশে পাঠিয়ে দেই। পরে ওই দুই প্রতারক ভিডিও কলের মাধ্যমে বিভিন্ন পাসপোর্ট, ভিসা, ছবি ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দেখালে আমরা বিশ্বাস করে ১৮ লাখ ৫০ হাজার টাকা বিভিন্ন বিকাশ অ্যাকাউন্টে পাঠিয়ে দেই। এর পরেই দুজনের মোবাইল নম্বর বন্ধ করে দেয়। সন্দেহ হলে আমরা খবর নিয়ে জানতে পারি তারা দুজনই প্রতারক। তাদের ঠিকানা বের করে স্থানীয় আত্মীয়-স্বজনদের মাধ্যমে টাকা ফেরত চাইলে তাদের উপর হামলা করে ও হুমকি দেয়। তাই উপায় না দেখে আমি একাই এসে এ প্রতারকের বাড়িতে অনশন করছি।
কিশোরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আশরাফুল ইসলাম ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, থানায় মামলা করলে আসামিদের বিরুদ্ধে অ্যাকশন নিব।
কেকে/ এমএস