ধামরাইয়ে দুই যুবককে ছুরিকাঘাতে হত্যাচেষ্টা করেছে সন্ত্রাসীরা। এ ঘটনায় গুরুতর আহত সিফাত (১৯) বর্তমানে এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। অপর আহত যুবক সজল (১৯) ধামরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি আছেন।
এ ঘটনায় আহত সিফাতের মা শিরিন আক্তার বাদী হয়ে ১২ জনসহ অজ্ঞাত আরো চার পাঁচজনকে আসামি করে ধামরাই থানায় মামলা করেছেন।
বুধবার (২০ আগস্ট) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ধামরাই থানার ওসি মনিরুল ইসলাম।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত সোমবার বিকালে জালসা উচ্চ বিদ্যালয়ের পাশে দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে সন্ত্রাসীরা সিফাত ও সজলের পথরোধ করে। একপর্যায়ে তারা ধারালো অস্ত্র দিয়ে দুজনকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে পালিয়ে যায়।
পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন। বর্তমানে সিফাতের অবস্থা আশঙ্কাজনক এবং সে এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে চিকিৎসাধীন।
আজ সকাল ১০টার দিকে কাওয়ালীপাড়া বাজারে এলাকাবাসীর উদ্যোগে সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে মানববন্ধন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে বক্তারা হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
সিফাতের ভাই শিহাব হাসান বলেন, আমার ভাইকে শ্রাবণসহ দশ বারোজন মিলে মারধর করে একপর্যায়ে ওর বন্ধু থামাতে গেলে তাকেও মারধর করে সন্ত্রাসীরা। কিল ঘুসি মারার পর তারা আমার ভাই ও তার বন্ধুকে ছুরি দিয়ে আঘাত করে। এতে আমার ভাইয়ের ফুসফুসে আঘাত লাগে। বর্তমানে সে এনাম মেডিকেল কলেজে লাইফ সাপোর্টে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে। আমরা ধামরাই থানায় লিখিত অভিযোগ করেছি। অপরাধীদের দ্রুত গ্রেফতার করে তাদের বিচারের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি।
সিফাতের মা শিরিন আক্তার বলেন, আমার ছোট ছেলে এখন লাইফ সাপোর্টে তাকে যারা আহত করেছে তাদের বিচার চাই। আমার ছেলে আমার ডাকে সাড়া দেয় না বলে সে কান্নায় ভেঙে পড়েন।
ধামরাই থানার পুলিশ পরিদর্শক (ওসি) মনিরুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় মামলা হয়েছে আসামিদের গ্রেফতারের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
এ ঘটনার প্রতিবাদে ধামরাইয়ের সর্বস্তরের জনগণ একত্রিত হয়ে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছেন এবং দ্রুত আসামিদের আইনের আওতায় আনার জোর দাবি জানিয়েছেন।
কেকে/এএস