বৃষ্টি ও উজানের ঢলে প্রতিদিনই সিরাজগঞ্জে যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। ২ সপ্তাহ ধরে ধীরগতিতে বাড়লেও গত ৪৮ ঘণ্টায় দ্রুতগতিতে পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। এর ফলে যমুনার পানি বিপৎসীমার কাছে চলে এসেছে। এ কারণে চরাঞ্চলের ফসলি জমি তলিয়ে গেছে।
এদিকে, দ্রুতগতিতে পানি বৃদ্ধির কারণে জেলার ফুলজোড়, করতোয়া, হুড়া সাগরসহ অভ্যন্তরীণ নদ-নদীর পানিও বাড়তে শুরু করেছে। তবে এবার জেলায় বন্যার কোনো আশংকা নেই বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।
শনিবার (১৬ আগস্ট) সিরাজগঞ্জ শহররক্ষা বাঁধ (হার্ড পয়েন্টে) যমুনা নদীর পানির সমতল রেকর্ড করা হয়েছে ১২ দশমিক ৪৭ মিটার। গত ২৪ ঘণ্টায় ২৩ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ৪৩ মিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে (বিপৎসীমা ১২.৯০ মিটার)। এ পয়েন্টে শুক্রবার ২২ ও বৃহস্পতিবার ২৩ সেন্টিমিটার পানি বৃদ্ধি পেয়ছে।
অপরদিকে, জেলার কাজিপুর মেঘাই ঘাট পয়েন্টে পানির সমতল রেকর্ড করা হয়েছে ১৪ দশমিক ০৪ মিটার। ২৪ ঘণ্টায় ২৩ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ৭৬ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে (বিপৎসীমা ১৪.৮০ মিটার)। এ পয়েন্টে আগের দুদিন যথাক্রমে ২৪ ও ২২ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়েছে।
সদর উপজেলার কাওয়াকোলা ইউনিয়নের কাটাঙ্গা গ্রামের কৃষক সামছুল শেখ বলেন, কয়েকদিন ধরে পানি বাড়তে থাকায় চরাঞ্চলের আবাদি জমি তলিয়ে ক্ষতির পরিমাণ ক্রমেই বাড়ছে। নিচু এলাকার জনবসতির চারপাশ পানিতে জলাবদ্ধ হয়ে পড়েছে। সেই সঙ্গে সদ্য আবাদী রোপা আমন ধান, সবজি, মরিচসহ বিভিন্ন ফসলী জমি তলিয়ে ফসল নষ্ট হচ্ছে। এতে কৃষকের বড়ধরনের ক্ষতি হচ্ছে।
সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী নাজমুল হোসাইন বলেন, কয়েকদিনের ভারি বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলে যমুনায় প্রতিদিনই পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। ফলে চরাঞ্চলের নিচু জমিগুলো তলিয়ে গেছে। কয়েকদিন পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকবে। তবে বিপৎসীমার কাছাকাছি গেলেও অতিক্রম করার সম্ভাবনা নেই।
কেক/এআর