সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ভোলাগঞ্জে 'সাদাপাথর' লুটের ঘটনায় অভিযান চালিয়ে ৫ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এসময় সাদাপাথর ভর্তি একটি ট্রাক জব্দ করা হয়।
শুক্রবার (১৫ আগস্ট) দিবাগত রাতে অভিযান পরিচালনা করে কোম্পানীগঞ্জ থানার পুলিশ তাদের আটক করে।
শনিবার (১৬ আগস্ট) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) উজায়ের আল মাহমুদ আদনান।
তিনি জানান, অভিযানে আটক ৫ জনকে আজ সকালে থানার আনা হয়েছে। তাদের সাদাপাথর লুটের ঘটনায় গ্রেফতার দেখিয়ে আজ আদালতে সোপর্দ করা হবে।
আটক পাঁচজন হলেন কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার কালাই রাগ গ্রামের মৃত সিকন্দর আলীর ছেলে মোহাম্মদ কামাল মিয়া ওরফে পিচ্চি কামাল (৪৫), একই এলাকার কামাল মিয়ার ছেলে মো. আবু সাঈদ (২১), নাজিরের গাঁওয়ের মৃত মনফর আলীর ছেলে মো. আবুল কালাম (৩২), লাছুখাল গ্রামের শহীদ মিয়ার ছেলে ইমান আলী (২৮) ও তার ভাই জাহাঙ্গীর আলম (৩৫)।
এর আগে গতকাল শুক্রবার বিকালে খনিজ সম্পদ উন্নয়ন ব্যুরোর মহাপরিচালক মোহাম্মদ আনোয়ারুল হাবীব সাদাপাথর লুটের ঘটনায় অজ্ঞাতনামা ১ হাজার ৫০০ থেকে ২ হাজার জনকে আসামি করে কোম্পানীগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, গত বছরের ৫ আগস্ট থেকে পরবর্তী সময়ে কিছু দুষ্কৃতকারী গেজেটভুক্ত পাথর কোয়ারি থেকে অবৈধভাবে ও অনুমতি ছাড়া কোটি কোটি টাকার পাথর লুট করেছে—এমন খবর বিভিন্ন জাতীয় গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের পরিচয় এখনো শনাক্ত করা যায়নি।
এদিকে গত তিনদিন ধরে চালানো অভিযানে লুট হওয়া প্রায় এক লাখ ঘনফুট পাথর জব্দ করা হয়েছে। এর মধ্যে প্রায় ৫০ শতাংশ পাথর সাদাপাথরে ফেলা হয়েছে। বাকিগুলো প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
সিলেটের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শের মাহবুব মুরাদ খোলা কাগজকে জানিয়েছেন, 'লুটপাট করা পাথর উদ্ধারে অভিযান চলমান আছে। এরই মধ্যে তিন দিনে ১ লাখ ঘনফুট পাথর উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধার করা পাথর সাদাপাথরে ফেলা হচ্ছে। এ ধরনের অভিযান অনির্দিষ্টকাল পর্যন্ত চলবে।'
কেকে/এআর