নোয়াখালীর সোনাইমুড়ি পৌরসভার ছাতার পাইয়া চৌরাস্তার সংলগ্ন প্রাইভেট জেনারেল হাসপাতালে ভুল চিকিৎসার কারণে আসমা (৩০) নামের এক প্রসূতির মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে।
মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) বেলা ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত আসমা, সেনবাগ উপজেলার ছাতারপাইয়া গ্রামের পশ্চিমা পাড়া নতুন বাড়ির রফিকে স্ত্রী। ভুক্তভোগী পরিবারের অভিযোগ, মঙ্গলবার সকাল ৭টার দিকে সিজার করানোর উদ্দেশ্যে হাসপাতালটিতে আছমাকে ভর্তি করানো হয়। পরবর্তীতে আনুমানিক সকাল-সাড়ে ৮ টায় সময় ডা. দিল আফরোজ স্বর্ণার নেতৃত্বে রোগীর সিজার করা হয়, এবং একটি মেয়ে সন্তান এর জন্ম হয়। সিজারের পর থেকে আসমার শরীরের অবস্থা খুব খারাপের দিকে যাচ্ছিল। তাৎক্ষণিক ডাক্তার রোগীর অবস্থা বেগতিক দেখে পালিয়ে যায়।
আছমার পরিবারের দাবি, আছমা প্রসব বেদনা উঠলে, মঙ্গলবার সকালে জেনারেল হসপিটালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তাকে অজ্ঞাত এক ইনজেকশন দেওয়ার পরপরই তার অবস্থার অবনতি ঘটে। তার পরেও তাকে, জোর করে সিজার করানো হয়, তাৎক্ষণিক প্রসূতি আসমা শারীরিকভাবে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে, তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য পরবর্তীতে কুমিল্লা হাসপাতালে প্রেরণ করলে পথেই মারা যায়। পরে কুমিল্লা ট্রমা সেন্টার হাসপাতাল নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত বলে ঘোষণা করে।
প্রসূতির বোন রুপা সাংবাদিকদের জানান, ক্লিনিকটিতে কোনো অভিজ্ঞ গাইনী চিকিৎসক ছিল না। এবং এনেস্থেশিয়ার কোন ডাক্তার ছিল না, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ভুয়া ডাক্তার দিয়ে নার্স ও ওয়ার্ডবয়ের মাধ্যমে আমার বোনকে সিজার করায়, এই কারণেই আমার বোনের মৃত্যু হয়। আমি আমার বোনের ভুল চিকিৎসার জন্য ডাক্তারসহ হাসপাতাল মালিকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করছি। এ সময় ভুল চিকিৎসায় রোগীর মৃত্যুর খবর চারদিকে ছড়িয়ে পড়লে, সাধারণ জনগণ ও রোগির আত্মীয় স্বজন হাসপাতাল ভাঙচুরের উদ্দেশ্যে ক্ষিপ্ত হয়। খবর পেয়ে সোনাইমুড়ি থানা পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এ বিষয়ে সোনাইমুড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোরশেদ আলম বলেন, প্রসুতির লাশ ময়নাতদন্ত নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। প্রতিবেদন হাতে পেলে বিস্তারিত জানা যাবে। এ ঘটনায় থানায় অপমৃত্যু মামলা করা হয়েছে।
কেকে/এআর