পটুয়াখালীর দশমিনায় চেক চুরি ২৪ দিন পরে টাকা উত্তোলন করতে গিয়ে দুই কিশোর আটকের ঘটনা ঘটে।

রোববার (১০ আগস্ট) বেলা ১২ টার দিকে জনতা ব্যাংক পিএলসি দশমিনা  শাখায় এ ঘটনা ঘটে।

আটক মিজানুর রহমান (১৫) উপজেলা সদরে জহির প্যাদার ছেলে এবং ফাইজুল (১৫) উপজেলার আলীপুরা ইউনিয়নরে ৪নং ওর্য়াড পশ্চিম আলীপুরা গ্রামের আলাউদ্দিনের ছেলে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরের জুলাই মাসের ১৪ তারিখ জনতা ব্যাংক দশমিনা শাখার গ্রাহক মো. রুহুল আমিন মোল্লার মৎস্য আড়ৎ  থেকে দুটি চেক পাতা চুরি হয়। চেক পাতা চুরি হওয়ার বিষয় ১৭ জুলাই লিখিত ভাবে জানান জনতা ব্যাংকের ওই শাখার ব্যাবস্থাপককে। লিখিত অভিযোগ ব্যবস্থাপক জনতা ব্যাংকের সকল শাখায় মেইল করে দেন। রোববার বেলা ১২ টার সময় চুরি হওয়া চেক নিয়ে দুই কিশোর জনতা ব্যাংক দশমিনা শাখায় ১লাখ ১২ হাজার টাকা উত্তোলন করতে এলে ব্যবস্থাপক গ্রাহককে অবহিত করেন। পরে তিনি এসে তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে নিয়ে থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেন।

ব্যবসায়ী ও বিএনপি নেতা রুহুল আমিন মোল্লা জানান, গত ১৪ জুলাই দুপুরের দিকে আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের টেবিলের ড্রয়ারে জনতা ব্যাংকের টাকা উত্তোলনের জন্য আমার স্বাক্ষরিত রাখা দুটি চেক পাতা চুরি হয়ে যায়। খোঁজাখুজি করে না পেয়ে বিষয়টি আমি ব্যাংকের দশমিনা শাখা ব্যবস্থাপককে লিখিত ভাবে অবহিত করি। আজ ব্যাংকে ওই চেক দুটি নিয়ে টাকা তুলতে গেলে কর্তৃপক্ষ চোরাই চেক ধারী ওই দুই কিশোরকে আটক করে আমাকে খবর দয়ে। তাৎক্ষণিক আমি ব্যাংকে গিয়ে তাদেরকে আমার মাছের আড়ৎতে নিয়ে আসি এবং থানা পুলিশকে বিষয়টি জানাই পুলিশ এসে তাদের আটক করে থানায় নিয়ে যায়। এ বিষয়ে আমি আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করবো।

জনতা ব্যাংক পিএলসি দশমিনা শাখার ব্যবস্থাপক আবু আল কাশেম খোলা কাগজকে জানান ব্যাংকের গ্রাহক রুহুল আমিন মোল্লা ১৭ জুলাই একটি লিখিত আবেদন করে জানান তার মৎস্য প্রতিষ্ঠানের ড্রয়ার থেকে দুটি চেক পাতা চুরি হয়েছে। আমি আবেদনটি গ্রহন করে সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষকে অবহিত করি। রোববার ওই চেক পাতা নিয়ে দুই কিশোর ১লাখ ১২ হাজার টাকা উত্তোলন করতে আসলে তাদের আমার কক্ষে বাসিয়ে গ্রাহক রুহুল আমিন মোল্লাকে খবর দেই। তিনি এসে দুই কিশোরকে নিয়ে যায়।

দশমিনা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মাদ আবদুল আলীম জানান চুরি হওয়া চেক দিয়ে টাকা উত্তোলনের সময় জনতা ব্যাংক দশমিনা শাখায় দুই কিশোরকে আটকের খবর পেয়ে থানায় নিয়ে আসা হয়। এর সাথে আরো কেউ জড়িত আছে কিনা এবং আরো একটি চেক পাতা উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। পরবর্তী আইনি কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন আছে।

কেকে/ এমএস