গাজীপুরের শ্রীপুরে ভার্ড কম্পোজিট টেক্সটাইল লিমিটেড এবং সাভারের ডার্ড গ্রুপের চারটি কারখানা দীপ্ত এ্যাপারেল লিমিটেড, দীপ্ত গার্মেন্টস লিমিটেড, ডার্ড ওয়াসিং প্লান্ট লিমিটেড, ডার্ড গার্মেন্টস লিমিটেডসহ ডার্ড গ্রুপের পাঁচ প্রতিষ্ঠানে চৌদ্দ হাজার শ্রমিক-কর্মচারীকে স্থায়ী নিয়োগ দিয়ে ২০২৩ সালের ২২ নভেম্বর মালিকের নিয়ন্ত্রণবর্হিভূত কারণ দেখিয়ে বন্ধ ঘোষণা করেন।
শ্রম মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ২০২৩ সালের ২৮ নভেম্বর শ্রমিকদের পাওনাদি পরিশোধ সংক্রান্ত বিষয়ে একটি সমঝোতা চুক্তি হয়। আইন মোতাবেক প্রাপ্য সুবিধা থেকে কমিয়ে ৫০ শতাংশের কম সুবিধার কথা উল্লেখ করে চুক্তি করেছে যাহা শ্রম আইন পরিপন্থি। সেই চুক্তিও আজ পর্যন্ত বাস্তবায়ন করেনি মালিকপক্ষ।
২০২৪ সালের ২৯ অক্টোবর বিদ্যমান শ্রম পরিস্থিতি সংক্রান্ত পর্যালোচনামূলক সভা অনুষ্ঠিত হয় এবং সভার কার্যবিবরণীতে মালিকপক্ষের প্রকাশিত তথ্য মোতাবেক সাতাইশ কোটি টাকা বকেয়া আছে বলে উল্লেখ করেন এবং সরকারের কাছে লোন আবেদন করেন। আবেদনের প্রেক্ষিতে ২০২৪ সালের ১০ ডিসেম্বর সরকারের বরাদ্দকৃত সুদমুক্ত ১৩ কোটি টাকা পেয়েছেন। পরে ১৩ কোটি টাকার আংশিক পাওনা পরিশোধ করেছেন। ডার্ড গ্রুপসহ মোট ছয়টি প্রতিষ্ঠানের শ্রম অসন্তোষ নিরসনে অন্তরবর্তিকালীন সরকারের চারজন উপদেষ্টা শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ে অংশীজনদের নিয়ে সভা করেন।
সভা শেষে প্রেস/মিডিয়ার মাধ্যমে তারা ২০২৫ সালের ৭ মে’র মধ্যে শ্রমিকদের পাওনাদি পরিশোধ করতে মালিকদেরকে নির্দেশনা দেন এবং পালিয়ে থাকা মালিকদের বিরুদ্ধে রেড অ্যালার্ট জারি করার জন্য স্বরাষ্ট মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ জানান।
ব্যবসা পরিস্থিতি পর্যালোচনা সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি চলতি বছরের ২৫ মার্চ এবং ২৩ এপ্রিল ৯ম ও ১০ম সভায় ডার্ড গ্রুপের মালিকে দেশে ফেরানোর জন্য ইন্টারপোলের মাধ্যমে রেড অ্যালার্ট জারি করার সিদ্ধান্ত নেয়। অপরদিকে দুই শতাধিক শ্রমিক-কর্মচারী শ্রম আদালতে মামলা দায়ের করেছেন। শ্রম আইন, ২০০৬ এর ১৩৬ ধারার ক্ষমতা বলে সম্পত্তি ক্রোক করে শ্রমিক-কর্মচরীদের পাওনা পরিশোধ করার দাবি জানান শ্রমিক-কর্মচারী ও কর্মকর্তারা।
ডার্ড কম্পোজিট টেক্সটাইল লিমিটেডের ডেপুটি ম্যানেজার সুনিল ঘোষ শ্রমিকদের পক্ষে লিখিত বক্তব্যে এসব তথ্য জানান।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ গার্মেন্টস অ্যান্ড শিল্প শ্রমিক ফেডারেশনের গাজীপুর মহানগরের সভাপতি শফিউল আলম, বাংলাদেশ গার্মেন্টস শিল্প শ্রমিক ঐক্য পরিষদের গাজীপুর জেলার সভাপতি মিজানুর রহমান, ডার্ড কম্পোজিট টেক্সটাইল লিমিটেডের ডেপুটি ম্যানেজার সুবিমল ঘোষ, সুইং ইনচার্জ সাইফুল ইসলাম, সুইং অপারেটর সাবিনা ইয়াসমিন, সুইং অপারেটর আসমা বেগম।
কেকে/এজে