রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান বিধ্বস্তে আহত কুমিল্লার মাহাতাব রহমান ভুইয়ার (১৪) মৃত্যুতে তার বাড়িতে চলছে শোকের মাতম। মাহাতাবের মৃত্যুতে যেন পুরো গ্রামের শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) এশার নামাজের পর চুলাশ ঈদগাহ মাঠে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন সম্পন্ন হয় তার।
মাহাতাবের গ্রামের বাড়ি জেলার দেবিদ্বার উপজেলার রাজামেহার ইউনিয়নের চুলাশ গ্রামে।
এর আগে বৃহস্পতিবার দুপুর ১টা ৫০ মিনিটে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) তার মৃত্যু হয়। মাহতাব মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের সপ্তম শ্রেণির ছাত্র ছিল। পরিবারের সাথে থাকত উত্তরার একটি ভাড়া বাসায়।
নিহতের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, পুরো বাড়িতে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। মাহাতাবের মৃত্যু খরব শুনে তার নিথর দেহ দেখতে ছুটে আসছে তাদের গ্রামসহ দূর দূরান্তের লোকজন।
মাহতাবের বাবা মিনহাজুর রহমান ভুইয়া বলেন, বিমান বিধ্বস্তের সময় আমি গাজিপুর থেকে আসার পথে। সেনাবাহিনী আমাকে কল করে জানায় এ ঘটনা। পরে আমি আমি আমার আত্মিয় ও কয়েকজন বন্ধুকে পাঠাই হাসপাতালে৷ তখন আমার ছেলে কথা বলেছে। সে জুস খেতে চেয়েছিল। বলেছিল তার কিছু হবে না। সে ভালো হয়ে যাবে। সবার কাছে দোয়া চেয়েছে। কি থেকে কি হয়ে গেলো। আমার একটা মাত্র ছেলে আজ আমাদের ছেড়ে চলে গেল।
কান্না বিজড়িত কণ্ঠে মাহাতাবের বড় বোন নাবিলা বলেন, আমার ভাইটা খুব ভালো ছাত্র ছিল। চুপচাপ থাকত। মাকে কখনো কষ্ট দিত না। আজ আমার ভাই কোনো শব্দ করবে না।
দেবিদ্বার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবুল হাসনাত খাঁন বলেন, আমি মাহাতাবের জানাজাতে অংশগ্রহণ করেছি। এবং তার পরিবারের সাথেও কথা বলেছি৷ দেবিদ্বার উপজেলা প্রশাসন সবসময় এ শোকাহত পরিবারের পাশে থাকবে।
কেকে/ এমএস