কুড়িগ্রামের রৌমারীতে জমি নিয়ে সংঘর্ষে একই পরিবারের ৩ জন নিহত ও উভয় পক্ষের ৬ জন আহত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার সদর ইউনিয়েনের ভন্দুচর সীমান্ত এলাকায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
নিহতরা হলেন, ভুলু মিয়া (৬০), ফুলবাবু (৪৫) ও তাদের ভাতিজা নুরুল আমিন (৪২)। আহতরা হলেন, আনোয়ারের ছেলে মজিদ মিয়া (২৮) ও মজনু মিয়া (২৫) এবং শাহাজামালের ছেলে আরিফ হোসেন (৩২), নিহত ফুল বাবুর স্ত্রী ফুলো রানী (৩১), মৃত রব্বানির ছেলে আপেল মিয়া (৫৫) ও মৃত গোলাম শহীদের ছেলে বুলু মিয়া (৬০)। তারা উপজেলার সদর ইউনিয়নের ভন্দুরচর এলাকার বাসিন্দা।
স্থানীয় ও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন থেকে জমিজমা নিয়ে আপেল গংয়ের সাথে একই এলাকার শাহাজামালদের বিরোধ চলে আসছে। এরই জের ধরে বৃহস্পতিবার সকালে শাহাজামাল গংয়ের জমিতে পানিতে দিতে গেলে আপেল গং বাধা দেয়। তর্কবিতর্কের একপর্যায়ে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র, টেঁটা, লাঠিসোটা নিয়ে শাহাজামাল গংয়ের উপর হামলা করেন। এতে উভয় পক্ষের আহত হন ৬ জন। ঘটনাস্থল থেকে রৌমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পথে শাহাজামালের পক্ষের ৩ জন নিহত হন ও নারীসহ ৫ জন আহত হন। আপেলের পক্ষের আপেল নিজেই আহত হন। আহতদের মধ্যে উন্নত চিকিৎসার জন্য অন্যত্র রেফার্ড করা হয়েছে ২ জনকে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ৪ জন।
শাহাজামাল পক্ষের আহত আরিফ হোসেন বলেন, গত ১৯ জুলাই আমাদের ক্ষেতের ধান গাছের চারা আপেল গংয়ের গরু দিয়ে খাওয়ানো হয়। এতে আমরা বাধা দিলে আমাদের ধাওয়া করে বাড়িতে এসে আমার মাকে মারধর করে ও বাড়িঘর ভাংচুর করে। এরপর আমরা রৌমারী থানায় গিয়ে একটি অভিযোগ করি। এ খবর জানতে পেয়ে কুড়িগ্রামে গিয়ে তারা মামলা করেন ও আমাদের জমিতে না নামার হুমকি-ধামকিও দেন। এরই জেরে আজকের এই সংঘর্ষ ও নিহতের ঘটনা ঘটে।
রৌমারী উপজেলা আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) নবীউল ইসলাম জানান, বৃহস্পতিবার দুপুর সোয়া ১টার দিকে আঘাতপ্রাপ্ত একাধিক ব্যক্তি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে আসেন। এর মধ্যে ৩ জনকে মৃত্যু অবস্থায় আনা হয়। গুরুতর আহতদের উন্নত চিকিৎসার জন্য রেফার্ড করা হয়েছে ২ জনকে ও আহত ৪ জন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
রৌমারী থানার ওসি লুৎফর রহমান বলেন, এ ঘটনায় ৩ জন নিহত হয়েছেন। মামলা প্রক্রিয়াধীন।
কেকে/ এমএস