প্রবাসী পিতাকে এয়ারপোর্টে আনতে যাওয়ার সময় মাইক্রোবাস দুর্ঘটনায় লাশ হয়ে ফিরলেন মেয়ে ফিরোজা বেগম (২৫) ও তার শ্বশুর মাসুদ বিশ্বাস (৫৫)।
বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) ভোর সাড়ে ৪টার দিকে ভাঙ্গা টু ঢাকা এক্সপ্রেস হাইওয়ের জাজিরা উপজেলার নাওডোবা-কুতুবপুর এলাকায় একটি যাত্রীবাহী বাস, কাভার্ডভ্যান ও হাইওয়ে মাইক্রোবাসের ত্রিমুখী সংঘর্ষে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত মাসুদ বিশ্বাস ও ফিরোজা বেগম ফরিদপুরের সালথা উপজেলার রামকান্তপুর গ্রামের বাসিন্দা। ফিরোজা, মাসুদ বিশ্বাসের ছেলে মামুন বিশ্বাসের স্ত্রী ও দুই সন্তানের জননী।
নিহত মাসুদ বিশ্বাসের চাচাতো ভাই নুরুল ইসলাম মহুরি বলেন, প্রবাসী ছারু ফকিরকে ঢাকা এয়ারপোর্ট থেকে মাইক্রোতে করে আনতে যাচ্ছিল মেয়ে ফিরোজা বেগমসহ ও তার স্বামীর পরিবার ও বাবার পরিবারের লোকজন। ভোর সাড়ে ৪টার দিকে পদ্মা ব্রিজের আগে মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় মাসুদ ভাই ও তার ছেলে মামুনের স্ত্রী ফিরোজা মারা গেছে। আমরা লাশ আনতে যাচ্ছি।
তিনি আরো বলেন, মাইক্রোবাসে থাকা মোস্তফা মোল্যা, মামুন বিশ্বাস ও তার মাতা মর্জিনা বেগম, আকরাম ঠাকুর ও মাইক্রোর ড্রাইভার সবুজ গুরুতর আহত হয়েছেন। তাদের আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
সালথা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আতাউর রহমান বলেন, শিবচর হাইওয়ে থানার সঙ্গে কথা বলে জানতে পারলাম আজ ভোররাত ৪.২০ মিনিটে নাওডোবা কুতুপপুর এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনায় রামকান্তপুর গ্রামের মো. মাসুদ বিশ্বাস ও ফিরোজা বেগম মারা গেছেন। তাদের লাশ শিবচর হাইওয়ে থানায় আছে। মাইক্রোবাসে থাকা সবাই আহত হয়েছে।
কেকে/এএস