জেলার বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা বিএনপির সম্মেলনকে কেন্দ্র করে বিএনপির মহাসচীব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের ছোট ভাই ও জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মির্জা ফয়সল আমীনের ওপর হামলার প্রধান আসামি লাল চাঁনকে (৩০) ডাকাতির অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে।
শনিবার (১৯ জুলাই) দুপুরে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
জানা যায়, বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার সর্বমঙ্গলা গ্রামের রব্বানী আলীর ছেলে রনি হোসেন (২৪) বাদী হয়ে বালিয়াডাঙ্গী থানায় একটি মামলা দায়ের করলে তাকে গ্রেফতার করে বিকালে আদালতের মাধ্যমে তাকে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়। লাল চাঁন বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার আলমগীর হোসেনের ছেলে বলে তথ্য পাওয়া যায়।
মামলার এজহারে জানা যায়, শনিবার ভোরে রনি হোসেন খালাতো বোনের বিয়ে শেষ করে মোটরসাইকেলযোগে কয়েল কেনার উদ্দেশ্যে পার্শ্ববর্তী রুপগঞ্জ গ্রামে যাচ্ছিলেন। এমন সময় আসামি চাঁন মিয়াসহ ২/৩ জন ব্যক্তি তাকে সর্বমঙ্গলা জামে মসজিদের সামনে পথরোধ করে। আসামিরা রনির কাছে মোটরসাইকেল, মোবাইল ও টাকা পয়সা কেড়ে নিতে চাইলে ধস্তাধস্তি শুরু হয়। এ সময় রনির চিৎকার শুরু করলে মসজিদের মোয়াজ্জেমসহ আশ পাশের লোকজন এগিয়ে এলে চাঁন মিয়াকে ধারালো রামদাসহ আটক করলেও অপর ২/৩ জন ব্যক্তি পালিয়ে যায়। স্থানীয়রা ৯৯৯-এ ফোন করলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে চাঁন মিয়াকে ধারালো অস্ত্রসহ গ্রেফতার করে।
ভুক্তভোগী রনি হোসেন ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, লাল চাঁন এলাকায় একটি ত্রাসের পরিবেশ সৃষ্টি করে রেখেছিলো। তার বিরুদ্ধে ভয়ে কেউ কথা বলতে পারতো না। সে হর হামেশাই এ ধরনের লুটতরাজ, চাঁদাবাজি ও ডাকাতির মত ঘটনা ঘটিয়ে আসছিলো। আর তাকে শেল্টার দিয়ে আসছিলো সৈয়দ আলম ও মাহবুবুর রহমান। তাই অপরাধ করার পরও সে আইনের হাত থেকে বেঁচে যেতো।
এ ব্যাপারে জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা বিএনপির এক সদস্য বিশিষ্ট কমিটির সভাপতি পয়গাম আলী বলেন, গ্রেফতারকৃত লাল চাঁন উপজেলা বিএনপির সম্মেলনে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও বিএনপির মহাসচীব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের ছোট ভাই ফয়সল আমীনের উপর হামলাকারীদের প্রধান। সেদিন সম্মেলনে সভাপতি প্রার্থী অ্যাডভোকেট সৈয়দ আলম ও সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী ডা. টিএম মাহবুবুর রহমানের হয়ে হামলার ঘটনা ঘটায়।
কেকে/ এমএস