ফ্যাসিস্টের দোসর আত্মগোপনে থাকা নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যানকে পূনর্বাসনে মরিয়া হয়ে উঠেছে উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা বিভাগ। বিশ্ব জনসংখ্যা দিবসের ব্যানারে চেয়ারম্যান মোস্তাফিজার রহমানকে করা হয় বিশেষ অতিথি। এতে প্রশ্ন উঠেছে ব্যানারে বিশেষ অতিথি রেখে তাকে পূনর্বাসনে উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা বিভাগ পরীক্ষা করছে না তো?
সোমবার (১৪ জুলাই) বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস উপলক্ষ্যে নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের আলোচনা সভায় দীর্ঘদিন ধরে আত্মগোপনে থাকা আওয়ামী লীগ নেতা ও নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান মোস্তাফিজার রহমানকে বিশেষ অতিথি করা হয়।
চেয়ারম্যান মোস্তাফিজার রহমান সভায় উপস্থিত না থাকলেও ব্যানারে বোল্ট করে তার নাম ও ছোট করে পদবী লেখা হয়েছে। এছাড়াও বর্ষসেরা শ্রেষ্ঠ ক্যাটাগরিতে নির্বাচিত করা হয় ওই আওয়ামী লীগ নেতা ও নৌকা প্রতিকের চেয়ারম্যানকে। উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের অফিস স্টাফ ও কর্মকর্তা এ মনোনয়ন করে। এ নিয়ে উপজেলায় প্রতিক্রিয়ার ঝড় উঠেছে।
এদিকে বিশ্ব জনসংখ্যা দিবসের আলোচনা সভার ব্যানারে ফ্যাসিস্টের দোসর, আত্মগোপনে থাকা আওয়ামী লীগ নেতা ও নৌকা প্রতীকের চাঁদখানা ইউপি চেয়ারম্যান মোস্তাফিজার রহমানকে উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা বিভাগ বিশেষ অতিথি করায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।
উপজেলা যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক ওবায়দুল ইসলাম জানান, ফ্যাসিস্টের দোসর চেয়ারম্যান মোস্তাফিজার রহমানকে বিশ্ব জনসংখ্যা দিবসের আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি করে উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা বিভাগ পূনর্বাসনের চেষ্টা করেছে। তারা তাকে বিশেষ অতিথি রেখে পরীক্ষা করছে কোনো প্রতিক্রিয়া হয় কি না?
উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারী ফেরদৌস আলম জানান, এটি ফ্যাসিস্টের দোসরদের পূনর্বাসন ও আশ্রয়ের পূর্ব আভাস। এটি খুবেই দুঃখজনক।
উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার কার্যালয়ের অফিস সহকারী রবিউল ইসলাম জানান, দিবস সম্পর্কে আমার কিছুই জানা নেই। সবকিছু স্যার করেছেন।
উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ডা. মো. নুর আমিন বলেন, চেয়ারম্যান মোস্তাফিজার রহমান নৌকা প্রতিকের চেয়ারম্যান ও আত্মগোপনে আছে আমার জানা ছিল না। আমার অফিস স্টাফরাও কিছু জানায়নি। তিনি এবছর সেবায় শ্রেষ্ঠ হয়েছে। তাই চেয়ারম্যান হিসেবে তাকে বিশেষ অতিথি রাখা হয়েছে। তবে তিনি সভায় আসেননি।
কেকে/ এমএস