চুয়াডাঙ্গার জীবননগরে বাঁকা গ্রামে গলায় ফাঁস দিয়ে সালমান (২৪) নামের এক যুবক আত্মহত্যা করেছে।
মঙ্গলবার (১৫ই জুলাই) রাত আড়াইটার দিকে নিজবাড়ি থেকে তার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করছেন জীবননগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মামুন হোসেন বিশ্বাস। সালমান উপজেলার বাঁকা ইউনিয়নের বাঁকা পশ্চিমপাড়া গ্রামের আলমগীরের ছেলে।
নিহতের মা সালেহা জানান, সালমান মানসিক ভারসাম্যহীন ছিল। আর সে কারণে সে অস্বাভাবিক চলাফেরা করতো। সংসার জীবনে তার আট বছর ও তিন বছরের দুই পুত্রসন্তান রয়েছে। কিন্তু পারিবারিক কলহের জের ধরে তার সন্তানর ও বউ তিন মাস ধরে বাপের বাড়ি সীমান্ত ইউনিয়নের গোয়ালপাড়ায় অবস্থান করছে।
এরই ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার রাত ২ টার দিকে সে বাইরে থেকে বাড়িতে এসে ঘরে ঢুকে ঘরের দরজা লাগিয়ে দেয়। কিন্তু আমি তার অস্বাভাবিক আচরণ দেখে কিছুক্ষণ পর জালানার ফাঁকা অংশ দিয়ে দেখি আমার পুত্র গলায় ফাঁস দিয়েছে। এরপর আমার আত্মচিৎকারে স্থানীয়রা ছুটে এসে দরজা ভেঙে সালমানের মৃতদেহ উদ্ধার করে।
এদিকে সালমানের স্ত্রী সোনিয়া খাতুন বলেন, আমার বিয়ে হয়েছে দীর্ঘ ৯ বছর। আমার দুটা পুত্রসন্তান রয়েছে। কিন্তু সালমান মাদকে আসক্ত হয়ে পড়ে সেই সঙ্গে মানসিক ভারসাম্যহীন হয়ে যায়। সে প্রতিনিয়ত আমাকে মারধর করত এবং সংসার চালাতে পারত না। এ কারণে আমি রাগ করে বাপের বাড়িতে চলে আসি এবং তিন মাস ধরে অবস্থান করছি।
এ বিষয়ে জীবননগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মামুন হোসেন বিশ্বাস জানান, যুবকের গলায় দড়ি দেওয়ার ঘটনাটি আমরা শুনেছি ইতোমধ্য ঘটনাস্থলে পুলিশের একটি টিম পাঠানো হয়েছে। এছাড়াও তদন্তপূর্বক পরবর্তীতে আমরা আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
কেকে/এএস