টানা কয়েকদিনের বৃষ্টিতে পাহাড় ধসে পড়ে ফটিকছড়ি-মিরসরাই সংযোগ সড়ক বন্ধ হয়েছে গেছে। গত ৮ জুলাই বিকালে সড়কের ঝরঝরি মাজার সংলগ্ন চার রাস্তার কোপ এলাকায় পাহাড় ধসে সড়কে মাটি জমে যাওয়ায় যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। দীর্ঘ ৫ দিন ধরে মিরসরাইয়ের সাথে ফটিকছড়ি উপজেলার নারায়ণহাট ইউনিয়নের সড়ক যোগাযোগ বন্ধ থাকলেও নজর পড়েনি সড়ক ও জনপদ বিভাগের (সওজ)। ফলে ধসে পড়া মাঠি সরাতে উদ্যোগ নেয়নি এই বিভাগ। এতে চলাচলকারীরা পড়েছেন চরম ভোগান্তিতে।
শনিবার (১২ জুলাই) গিয়ে দেখা যায়, থেমে থেমে জরুরি প্রয়োজনে অল্প কিছু সিএনজি চালিত অটোরিকশা আর মোটরসাইকেল ছাড়া সকল ধরণের যান চলাচল বন্ধ রয়েছে সড়কটিতে। সিএনজি চালিত অটোরিক্সা থেকে যাত্রীরা নেমে ঠেলে ঠেলে গাড়ি পার করছেন।
জানা গেছে, ফটিকছড়ি-মিরসরাই উপজেলায় যোগাযোগের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অভ্যন্তরীণ সড়ক এটি। প্রতিদিন সিএনজি অটোরিকশা, মোটরসাইকেল, মালবাহী গাড়িসহ প্রায় পাঁচ শতাধিক গাড়ি চলাচল করে সড়কটি দিয়ে। তাছাড়া এখানে পাহাড়ের বেশকিছু অংশে চাষ হয় লেবু। এখানকার লেবু, চট্টগ্রাম শহর, ফেনী, কুমিল্লাসহ দেশের নানা প্রান্তে বিক্রির উদ্দেশ্য নেয়া হয়। এই কয়দিন রাস্তা বন্ধ থাকার কারণে লেবু তোলা বন্ধ রেখছে চাষীরা।
স্থানীয় বাসিন্দা লেবুচাষী তোফায়েল আহমেদ জানান, ৫ দিন অতিবাহিত হয়ে গেলেও সরকারি লোকদের দেখা নেই। এত গুরুত্বপূর্ণ একটি সড়কের এমন বিপজ্জনক অবস্থার সমাধানে কেন উদ্যোগ নেয়া হয়নি তা বুঝতে পারছিনা।
নারায়ানহাট ইউপি সদস্য আলতাফ উদ্দিন বলেন, সড়কটি দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ চলাফেরা করে। পাহাড় ধসে পড়াতে চলাচলকারীদের দুর্ভোগ বেড়েছে। সওজ কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। তারা মাটিগুলো সরাবে বলেছেন। তবে, কবে নাগাদ সরাবে তা বলেননি।
সড়ক ও জনপদ বিভাগের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী মোহাম্মদ ফারহান বলেন, পাঁচ দিন নয় তিন দিন হয়েছে সড়কে পাহাড়ের মাটি পড়েছে। বৃষ্টির জন্য কাজ করা যেত না। আজকে(শনিবার) রাতে এস্কেভেটর গিয়ে পৌঁছাবে। রোববার সকাল নাগাদ সড়কের উপর থেকে মাটি সরানোর কাজ শুরু হবে।
এজে/এজে