রংপুরের তারাগঞ্জে রাতের আঁধারে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে অসুস্থ ছাগল জবাই করে বিক্রি করায় ভ্রাম্যমাণ আদালতে এক ব্যক্তিকে জরিমানা ও খাসির পঁচা কলিজা, ফুসফুস, মাথা এবং ভূড়ি জব্দ করা হয়।
বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) দুপুরে উপজেলার কুর্শা ইউনিয়নের উত্তর ঘনিরামপুরের দৌলতপুর এলাকায় এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসের কোন লাইসেন্স না নিয়ে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে প্রত্যয়ন ছাড়াই অসুস্থ ছাগল জবাই করে বিক্রির অভিযোগ পেয়ে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রুবেল রানা এবং প্রসিকিউটর ও উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা কে.এম ইফতেখারুল ইসলাম অভিযোগের ভিত্তিতে মো. জাহিদুল ইসলামের বাড়িতে অভিযান পরিচালনা করেন।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে প্রাণিসম্পদ অফিসের কোন রকম লাইসেন্স এবং প্রত্যয়ন ছাড়া প্রতিদিন রাত ২টা থেকে -৫টা পর্যন্ত অসংখ্য অসুস্থ ছাগল, ভেড়া জবাই করে বিভিন্ন জেলার নামি-দামি হোটেলসহ বিরানী হাউজে সরবরাহ করেন। এ বিষয়ে জাহিদুল ইসলামকে প্রাণিসম্পদ অফিস থেকে কয়েকবার নিষেধ করা হলেও তিনি গোপনে এ ধরনের কার্যকলাপ চালিয়েছেন।
অভিযানে প্রায় ৩০ কেজি পঁচা খাসির কলিজা, ফুসফুস, মাথা এবং ২৫ কেজি পঁচা ভুড়ি জব্দ করে ধ্বংস করা হয়।
পশু জবাই ও মাংসের মান নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১১ এর আওতায় অভিযুক্ত জাহিদুলকে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন তারাগঞ্জ উপজেলার উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবং এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট জনাব মো. রুবেল রানা। এসময় উপস্থিত ছিলেন প্রসিকিউটর ও উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা কে.এম ইফতেখারুল ইসলাম ও তারাগঞ্জ থানা পুলিশের টিম প্রমুখ। এ ধরনের অভিযান নিয়মিতভাবে অব্যাহত থাকবে বলে জানান প্রশাসন ও প্রাণী সম্পদ দপ্তর।
কেকে/ এমএস