সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫,
২৮ আশ্বিন ১৪৩২
বাংলা English
ই-পেপার

সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫
শিরোনাম: ১১ দিনে রেমিট্যান্স এলো প্রায় এক বিলিয়ন ডলার      জিয়া পরিবার জনগণের পরিবার : আমান উল্লাহ      রোমে পৌঁছেছেন প্রধান উপদেষ্টা      ২০০ তালেবান সৈন্যকে হত্যার দাবি পাকিস্তানের      বাতিল হওয়ার শঙ্কায় বিশ্বজয়ী আর্জেন্টিনার ভারত সফর      বিচারব্যবস্থাকে ব্যবহার করে দেশে স্বৈরশাসন পাকাপোক্ত হয়েছিল      প্রেসক্লাবে শিক্ষকদের ছত্রভঙ্গে সাউন্ড গ্রেনেড-লাঠিচার্জ      
দেশজুড়ে
বিদেশি জাতের আঙুরসহ বাগানে স্বপ্ন বুনছেন রাজবাড়ীর জিল্লু
রুবেলুর রহমান, রাজবাড়ী
প্রকাশ: রোববার, ২২ জুন, ২০২৫, ১১:২৪ এএম
ছবি : প্রতিনিধি

ছবি : প্রতিনিধি

সঠিক পরিচর্যার মাধ্যমে বাগান করার মাত্র এক বছরেই রাশিয়ানসহ বিদেশি কয়েকটি জাতের আঙুর এবং কমলা ও মালটা গাছে ফল ধরায় মিশ্র ফল বাগান করে এখন স্বপ্ন বুনছেন রাজবাড়ী পাংশার মো. জিল্লুর রহমান নামে এক উদ্যোক্তা।

বর্তমানে তার বাগানে বিদেশি জাতের ৫ জাতের আঙুর, ৩ জাতের কমলা ও মালটাসহ প্রায় ৭শ ফলের চারা রয়েছে এবং এসব গাছে শোভা পাচ্ছে ঝোপায় ঝোপায় রঙ-বেরঙের আঙুরসহ মালটা ও কমলা। 

তবে এখনও ফল হারভেস্টের বাকি কয়েকমাস। এ অবস্থায় সম্পূর্ণ বিষমুক্ত বিদেশি জাতের ফল উৎপাদন করতে পেরে যেমন খুশি উদ্যোক্তা জিল্লু, তেমনি মিশ্র এই ফল বাগান দেখতে প্রতিদিনই বাগানে ভির করছেন আশপাশসহ দূর-দূরান্ত থেকে আসা মানুষ ও নতুন নতুন উদ্যোক্তা এবং ফলন দেখে তারাও আগ্রহী হয়ে উঠছেন এই ফল বাগান করতে।

উদ্যোক্তা জিল্লুর রহমান রাজবাড়ী জেলার পাংশার যশাই ইউনিয়নের ভেল্লাবাড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা। বিদেশি ফলের আমদানি কমানোসহ সম্পূর্ণ বিষমুক্ত ফল উৎপাদনের লক্ষ্যে ২০২৩ সালের শেষের দিকে ইউটুব দেখে তিনি রাজবাড়ী সদরের সরোয়ার হোসেন বাবু বাগানে ঘুরতে গিয়ে ফল বাগান করতে আগ্রহী হন। এরপর ওই বাগান থেকে চারা সংগ্রহ  করে নিজ বাড়ির পাশসহ মাঠে প্রায় ৫ বিঘা জমিতে মিশ্র বাগান শুরু করেন। বর্তমানে তার ৩ বিঘা জমিতে (দার্জেলিং, মেন্ডারিন, চায়না) ৩ জাতের কমলা, ১ বিঘায় ভিয়েতনামি জাতের মালটা এবং ১৬ শতাংশ জমিতে রাশিয়া ও ইটালির (একেলো, সামার রয়েল, এপোলিয়া রোজ, ভ্যালেজ ও হ্যালোইন) ৫ জাতের আঙুরের চাষ রয়েছে।

রাজবাড়ীতে মিশ্র ফল বাগানে সফল চাষি সরোয়ার হোসেন বাবু। তিনিই রাজবাড়ীতে প্রথম বিদেশি জাতের আঙুরসহ কমলা ও মালটার বাগান করে সবাইকে তাক লাগিয়ে দেন। বর্তমানে তার বাগন থেকে জেলা ও জেলার বাইরের অনেকই চারা নিয়ে বাগান করছেন।

বাগান পরিচর্যাকারী হাতেম আলী বলেন, বাগানের শুরু থেকে আমরা কয়েকজন মিলে পরিচর্যা করছি। এখন আমাদের যত্ন করা গাছে আঙুর, কমলা ও মালটা ধরছে। যা দেখতে আমাদের খুব ভাল লাগে। তাছারা দুর-দুরান্ত থেকে প্রতিদিন অনেক মানুষ এই বাগান দেখতে আসে।

প্রতিবেশি আকমল হোসেন মিয়া ও দর্শনার্থী আব্দুর রাজ্জাকসহ কয়েকজন বলেন, বাগন দেখে খুব ভাল লাগছে। আঙুর গাছে ঝোপায় ঝোপায় রঙ-বেরঙের আঙুর ধরে আছে। তাছাড়া কমলা ও মলটা গাছেও ফল ধরছে। বিদেশি জাতের এই ফল আমরা দেশের মাটিতে উৎপাদন করতে পারলে আমরা অনেক লাভবান হবো এবং এর মাধ্যমে অন্য দেশের টাকা আমাদের দেশে আনতে পারবো। সরকারি ভাবে সাহায্য সহযোগিতা পেলে যেমন এসব বাগান মালিক উপকৃত হবে, তেমনি আমরাও উদ্ভুদ্ধ হবো । তাহলে আর বিদেশ থেকে ফল আমদানি করতে হবে না।

সফল মিশ্র ফল চাষি  সরোয়ার হোসেন বাবু বলেন, আমার কাছ থেকে চারা নিয়ে জিল্লু ভাই এই ফল বাগান করেছে। বাগান দেখতে এসে আমি মুগ্ধ হয়ে গেছি এবং আমার বাগানের চেয়ে এই বাগানে বেশি ফল ধরেছে। এই ভাবে যদি দেশের অন্যান্য অঞ্চলে কৃষি বিভাগের সহযোগিতায় চাষিরা ফল বাগান শুরু করে, তাহলে এই ফল উৎপাদন করে বাংলাদেশ নির্ভরশীল হবে এবং বিদেশ থেকে কোন ফল আমদানি করতে হবে না। সম্পূর্ণ বিষমুক্ত ফল খেতে পারবে দেশের মানুষ।

মিশ্র ফল চাষি মো. জিল্লুর রহমান বলেন, রাজবাড়ীর সরোয়ার হোসেন বাবুর মিশ্র ফল বাগান দেখতে গিয়ে ফল বাগান করতে আগ্রহী হই। প্রায় এক বছর আগে তার বাগান থেকে চারা এনে আমি ৫ বিঘা জমিতে বিদেশি জাতের আঙুর, কমলা ও মালটার বাগান করেছি। বাগানে প্রায় ৬শ কমলা, ৫০টি মালটাসহ অনেকগুলো আঙুর গাছ রয়েছে। বর্তমানে আমার বাগনের আঙুর, কমলা ও মালটা গাছে ফল ধরেছে। বিষমুক্ত ফল উৎপাদন করতে আমি অনেটাই সফল। আমার দেখাদেখি অনেকে এই ফল বাগান করতে উদ্যোগ নিয়েছে।

রাজবাড়ী জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের প্রশিক্ষণ অফিসার গোলাম রাসূল বলেন, মিশ্র ফল চাষিদের আমরা বিভিন্নভাবে উদ্ভুদ্ধ করে থাকি। তাদের সুবিধা হলো কোনো একটির ফলন কম হলে অন্যটির ফলন ভাল হয়। সেক্ষেত্রে চাষিরা একটু সুবিধা পায়। তবে আঙুর মুলত শীত প্রধান দেশের ফল। বর্তমানে আমাদের দেশের অনেক চাষি নিজ উদ্যোগে এই বাগান করছে। তারমধ্যে অন্যতম রাজবাড়ী সদরের বাগমারার সরোয়ার হোসেন বাবু। তার বাগান পরিদর্শন করে দেখেছি বিদেশি বেশ কয়েকজাতের আঙুরসহ অন্যান্য ফল গাছ আছে এবং বাগানে ফলনও ভাল হয়েছে। তার দেখাদেখি এখন অনেকেই ফল বাগান করছে। তবে রাজবাড়ীর মাটি এসব ফল চাষে অনুপযোগী। সেক্ষেত্রে কমলা ও মলটা সময়মত হারভেস্ট করলে ফল রসালো হবে এবং চাষিরা বাজার মূল্যেও ভাল পাবে।

কেকে/এআর

মতামত লিখুন:

সর্বশেষ সংবাদ

ট্রাক ভাড়া করে ঘুরে ঘুরে ডাকাতি করত তারা
শিশু বলাৎকার ও হত্যার অভিযোগে কিশোর গ্রেফতার
১১ দিনে রেমিট্যান্স এলো প্রায় এক বিলিয়ন ডলার
মুরাদনগরের ওসি জাহিদুরের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বসহ নানা অভিযোগ, অপসারণ দাবি
জিয়া পরিবার জনগণের পরিবার : আমান উল্লাহ

সর্বাধিক পঠিত

আসছে নাটক ‘অপ্রকাশিত ভালোবাসা’
চিকিৎসক ও জনবল সংকটে ব্যাহত হচ্ছে স্বাস্থ্য সেবা
রাজশাহীতে বিশ্ব পরিযায়ী পাখি দিবস পালিত
পাল্লা বাজারে রক্তলাল শাপলার মনভোলানো সমাহার
কালাইয়ে বিএনপির গণমিছিল ও লিফলেট বিতরণ

দেশজুড়ে- এর আরো খবর

সম্পাদক ও প্রকাশক : আহসান হাবীব
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : বসতি হরাইজন, ১৭-বি, বাড়ি-২১ সড়ক-১৭, বনানী, ঢাকা-১২১৩
ফোন : বার্তা-০২২২২২৭৬০৩৭, মফস্বল-০২২২২২৭৬০৩৬, বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন-০২২২২২৭৬০২৯, ০১৭৮৭৬৯৭৮২৩, ০১৮৫৩৩২৮৫১০ (বিকাশ)
ই-মেইল: [email protected], [email protected]

© 2025 Kholakagoj
🔝
close