নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের ইছাপুরা এলাকার বাসিন্দা মৃত নানা বানছার সাহার শ্রাদ্ধ খেতে এসে বালু নদীতে গোসল করতে নেমে স্রোতের টানে ভেসে গেল সুজন কুমার সাহা নামের এক শিক্ষার্থী । ঘটনার প্রায় ২৪ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও পূর্বাচল মাল্টিপারপাস ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা চেষ্টা চালিয়ে সন্ধান পায়নি সুজনের। নিঁখোজ সুজন কুমার সাহা নরসিংদী জেলার মাধবদী থানার কাশিপুর গ্রামের বাসিন্দা। সে নরসিংদী সরকারি কলেজ থেকে ডিগ্রিতে পড়াশোনা করছিলেন।
রোববার (১৫ জুন) বিকালে বালু নদীতে গোসল করতে নামে। এ সময় তার ছোট ভাইকে
ভিডিও করতে বললে তা ধারণ করে। কিন্তু আমার নাতি নদীতে তীব্র স্রোত বুঝতে
না পেরে ভেসে যায়। তারপর কোথায় গিয়ে থামল তা জানি না। ডুবুরি আর এলাকার
লোকজন আমার নাতিরে এনে দিতে পারল না এখনো।
নিখোঁজ শিক্ষার্থী সুজনের নানি গৌরি রানী সাহা বলেন, তার নানার শ্রাদ্ধ খেতে রূপগঞ্জের ইছাপুরায় মামার বাড়িতে বেড়াতে আসে।
পূর্বাচল মাল্টিপারপাস ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা উদ্দীপন ভক্ত বলেন, আমরা শিক্ষার্থী নিখোঁজের খবর পেয়েই বালু নদীতে সম্ভাব্য স্থানে ডুবুরি সদস্য নামিয়ে সুজনকে খুঁজতে থাকি। যতক্ষণ তাকে উদ্ধার করতে না পারব চেষ্টা চালিয়ে যাব। তবে তীব্র স্রোতের কারণে উদ্ধার তৎপরতায় দেরি হচ্ছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, নিখোঁজ সুজন সাহা ইউসুফ গঞ্জের বাসিন্দা লিপি সাহার বড় ছেলে। মাঝে মধ্যেই বেড়াতে এসে সুজন এ নদীতে গোসল করত। ভালো সাঁতার জানে সে। তবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিও দেখে বুঝলাম, সে স্রোতের বিপরীতে সাঁতার কাটতে গিয়ে ক্লান্ত হয়ে যায়। পরে আর তাকে খুঁজে পাওয়া যায়নি।
কেকে/এএস