ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার সিংরইল ইউনিয়নের কচুরী ও হরিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যাতায়াতের প্রায় তিন কিলোমিটার রাস্তা চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন কচুরী নামাপাড়া ও আশপাশের গ্রামের শত শত প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। সিংরইল ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য, চেয়ারম্যানদের দ্বারস্থ হলেও কোনো লাভ হয়নি। দীর্ঘদিনেও রাস্তাটি সংস্কার করছে না কর্তৃপক্ষ।
এলাকার কিছু যুবক হতাশ হয়ে নিজেদের উদ্যোগে রাস্তাটির সংস্কার শুরু করেছেন। এলাবাসীর কাছ থেকে চাঁদা তুলে সংস্কার করছেন তারা। গত মঙ্গলবার থেকে কাজ শুরু করে আজ রোববার পর্যন্ত এই ছয় দিনে ইটের কোয়া দিয়ে কাজ শেষ করে। এমন চিত্র নান্দাইল উপজেলা থেকে প্রায় ১৫ কিলোমিটার দূরে সিংরইল ইউনিয়নের কচুরী নামাপাড়া গ্রামের একটি রাস্তার।
রোববার (১৫ জুন) সরেজমিনে স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, কচুরী নামাপাড়া জামে মসজিদ থেকে কচুরী ও হরিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পর্যন্ত প্রায় তিন কিলোমিটার মাটির রাস্তাটি বর্ষায় চলাচলের অনুপযোগী হয়ে যায়। ওই তিন কিলোমিটার রাস্তা দিয়েই কচুরী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, হরিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, আব্দুল আজিজ উচ্চ বিদ্যালয়, এড. আব্দুল হাই কলেজ, বাকচান্দা ফাজিল মাদ্রাসার হাজারের বেশি শিক্ষার্থীসহ ওই এলাকার কয়েক হাজার মানুষ ওই রাস্তাটি দিয়ে চলাচল করে। বর্ষা মৌসুমে স্থানীয় লোকজন, বিশেষ করে শিশু ও নারীদের সীমাহীন ভোগান্তি পোহাতে হয়। কিন্তু কোনো জনপ্রতিনিধি রাস্তার উন্নয়নে এগিয়ে আসেননি। বাধ্য হয়ে এলাকা থেকে চাঁদা তুলে ইটের সুরকি ও বালু দিয়ে সাময়িক চলাচলের ব্যবস্থা করছে।
সাদেক মিয়া নামের এক ব্যক্তি বলেন, নির্বাচন আইলে প্রার্থীরা রাস্তাটি কইরা দেওনের কথা কইলেও পাশ করার পর আর আগের কথা মনে থাহে না। সেই জন্য আমরা চাঁদা তুইলা সুকরি দিয়া রাস্তা ঠিক করতাছি। এহন চলন যাইব। আস্তে আস্তে আবার পাকাও করমু।
উজ্জ্বল ভূইয়া বলেন, আমার বাড়ির পাশে কাদা হওয়ায় দূর থেকে মানুষ এসেই আমাদেরকে গালিগালাজ করে। কারণ আমার ঘরের সাথের রাস্তাটা বেশি খারাপ।
স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, কচুরী নামাপাড়া রাস্তাটির কিছু অংশে আগে মাটি দিয়ে ভরাট করা হয়েছিল, তবে এখন তা প্রায় নষ্ট। বর্ষায় গর্ত ও কাদা তৈরি হয়। এতে চলাচলে চরম ভোগান্তি পোহাতে হয়। সরকারি বরাদ্দ পেলে দ্রুত রাস্তাটির টেকসই সংস্কার করা হবে।
কেকে/এজে