সোনাভরি নদী অবৈধভাবে দখল করে সেতু ঘেঁষে দ্বিতল ভবন নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে সওদাগর নামের এক প্রভাবশালী ব্যক্তির বিরুদ্ধে। উপজেলার বন্দবেড় ইউনিয়নের বাঞ্ছারচর বাজার সংলগ্ন এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটেছে।
চলতি বছরের ১২ জানুয়ারি এর প্রতিকার চেয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ করেন রমিজ উদ্দিন। কিন্তু এখনো মেলেনি কোনো প্রতিকার।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, প্রকাশ্যে নদী দখল করে অবৈধভাবে দ্বিতল ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। এভাবে নদী দখল করতে থাকলে বর্ষা মৌসুমে নদীর স্বাভাবিক গতি প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হবে। এমনকি নদী রক্ষা করতে না পারলে এক সময় সোনাভরি নদীর চিহ্ন থাকবে না।
শুক্রবার (১৩ জুন) দুপুরে সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার বন্দবেড় ইউনিয়নের বাঞ্ছারচর বাজার সংলগ্ন এলাকায় যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে বাঞ্ছারচর এলাকায় সোনাভরি নদীর ওপর ১২০ মিটার দৈর্ঘ্যের একটি সেতু নির্মাণ করা হয়েছে। কিন্তু নবনির্মিত ওই সেতু ঘেঁষে সোনাভরি নদী দখল করে পূর্বপাশে নির্মাণ করা হয়েছে দ্বিতল ভবন।
স্থানীয় বাসিন্দা মনছের আলী ও জামাল উদ্দিনসহ অনেকে অভিযোগ করে বলেন, বাঞ্ছারচর বাজার সংলগ্ন এলাকায় সোনাভরি নদীর ওপর একটি সেতু নির্মাণ করা হয়েছে। এ সেতুর দুপাশে গাইড ওয়ালও নির্মাণ করা হয়। ওই সেতুর গাইড ওয়ালের নিচে সেনাভারি নদী দখল করে দ্বিতল ভবন নির্মাণ করেছেন একই ইউনিয়নের তিনতেলী এলাকার প্রভাবশালী ব্যক্তি সওদাগর।
তারা আরো অভিযোগ করে বলেন, নিমার্ণাধীন সেতুর ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার মনির হোসেন মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে ওই প্রভাবশালী সওয়দাগরকে স্থাপনা নির্মাণের অনুমতি দিয়েছেন। এ বিষয়টি নিয়ে এলাকাবাসীর মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
অভিযুক্ত সওদাগরের দাবি, ২০২৩ সালে এক শতাংশ জমি ও ২০১৬ সালে আরো তিন শতাংশসহ মোট চার শতাংশ জমি কিনে নিয়েছেন। বাঞ্ছারচর এলাকার সাবেক ইউপি সদস্য আব্দুর সালামের কাছ থেকে এক লাখ ১০ হাজার টাকায় এ জমি কিনে নেন তিনি।
সাবেক ইউপি সদস্য আব্দুর সালামের বলেন, আমার রেকর্ডীয় সম্পত্তি। তাই সওদাগর নামে এক ব্যক্তির কাছে জমি বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে। অন্য এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নদী হলেও খাস খতিয়ানে যায়নি।
তবে স্থানীয় রমিজ উদ্দিন বলেন, আমিসহ গ্রামবাসী ও এলাকার স্থানীয় মুরুব্বি (মাতাব্বর) তথা উপজেলা সাব রেজিস্ট্রার অফিস সূত্রে জানতে পেরেছেন, সওদাগরের ক্রয়কৃত ওই জমি, সেতু বা ওই জায়গা থেকে অনেকটা দূরে।
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার মনির হোসেন বলেন, আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে, তা মিথ্যা। এ ছাড়া ওই স্থাপনা নির্মাণের কোনো অনুমতি দেওয়া হয়নি।
রৌমারী উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রাসেল দিও বলেন, দখলের বিষয়ে সরেজমিন পরিদর্শন করা হয়েছে। কাগজপত্র দেখে সঠিক তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কেকে/এএম