জয়পুরহাটে কালাইয়ে ভ্যাপসা গরমে জনজীবন অতিষ্ঠ। উপজেলায় বৈশাখের তীব্র দাবদাহে পুড়ছে পুরো এলাকা। কয়েক দিনের প্রচন্ড গরমে মানুষের হাঁসফাঁস অবস্থা। গরম থেকে একটু স্বস্তি পেতে মানুষ ছুটছেন গাছের ছায়ায়। আবার অনেকে স্বস্তি পেতে ঠান্ডা শরবত বা ডাব খাচ্ছে। তীব্র গরমে বেশি দুর্ভোগে পড়েছে খেটে খাওয়া নিম্ন আয়ের মানুষ।
আবহাওয়া অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার (১৩ জুন) থেকে আগামী সোমবার (১৬ জুন) সকাল
পর্যন্ত ৭২ ঘণ্টা তাপমাত্রা অব্যাহত থাকতে পারে। এবং কালাই উপজেলায় আজকে
তাপমাত্রা ৩৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
রাস্তা থাকছে ফাঁকা এবং সকাল থেকেই ভ্যাপসা গরম পড়তে থাকে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে সূর্যের প্রখরতা। কাঠফাঁটা রোদ আর অসহনীয় গরমে মাঠে কাজ করতে পারছে না কৃষক। সেই সঙ্গে সিএনজি, আটোরিকশা ও ভ্যান চালকদেরও একই অবস্থায়। এবং অফিস-আদালতের কর্মকর্তা ও কর্মজীবীদের ওষ্ঠাগত অবস্থা। তীব্র গরমে তারা ঠিকমতো কাজকর্ম করতে পারছে না।
রৌদ্র ও গরমের তীব্রতা এতটাই বেশি যে, বাইরে কাজে বের হয়ে অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়ছে। জীবিকার তাগিদে উপায়ান্ত না পেয়ে তীব্র রোদেই কাজে বের হতে হয় খেটে খাওয়া মানুষদের। যাদের দিন আয়ে দিন চালতে হয় তাদের কাজ না করতে পেরে বেগ পেতে হচ্ছে বেশ।
কালাই বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অটোভ্যানচালক সিদ্দিক, বলেন, বৈশাখের এই গরমে ভ্যান চালানো খুব কষ্টকর। দুপুরে তো মনে হয় আগুন ঝরে। এত গরম যে রাস্তায় দাঁড়ানো কঠিন হয়ে যাচ্ছে। গরমের কারণে যাত্রীরা কম বের হচ্ছে। ফলে আয়-ইনকাম কমে গেছে এবং সংসার চালায় খুবই কষ্টকর হয়ে গেছে।
এ উপজেলার সরেজমিনে মাঠে গিয়ে কয়েকজন দিনমজুরের সঙ্গে কথা বলেন, আব্দুল লতিফ, আইয়ুব, এখন ইরি-বোরো ধান কাঁটার মৌসুম চলছে এবং দাবদাহের কারণে মাঠে কাজ করতে গিয়ে হাঁপিয়ে উঠছি। তীব্র দাবদাহে জন্য খেত খামারে বেশিক্ষণ টিকে থাকা যাচ্ছে না। ইতোমধ্যে বেশ কয়েকজন শ্রমিক কাজ করতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন দাবদাহের জন্য।
কালাই উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. মাহবুব উল আলম দৈনিক খোলা কাগজকে বলেন, তীব্র গরমে পানিশূন্যতা কিংবা হিটস্ট্রোক এড়াতে শ্রমজীবীদের একটানা কাজ না করে বিশ্রাম নিয়ে কাজ করার পরামর্শ দেন তিনি। তাছাড়া যারা আগে থেকেই বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত তারা গরমে দ্রুত অসুস্থ হয়ে পড়েন। এ সময়ে ডায়রিয়া, সর্দি-কাশি, হিটস্ট্রোক, স্ট্রোক, হার্ট অ্যাটাক ইত্যাদি হতে পারে। বিশেষ করে শিশু ও বৃদ্ধদের এ সময় নিরাপদে রাখতে পরামর্শ দেন।
কেকে/এএস