মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানের অভ্যন্তরে সিলেটগামী আন্তঃনগর জয়ন্তিকা এক্সপ্রেস ট্রেনে কাটা পড়ে শাহিন মিয়া (২৪) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।
বুধবার (১১ জুন) সন্ধায় লাউয়াছড়া বনের অভ্যন্তরে রেলওয়ের ২৯৪/৬ নম্বর পিলারের কাছে এ মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটেছ। নিহত শাহিন কমলগঞ্জ উপজেলার ৭ নম্বর আদমপুর ইউনিয়নের আধকানী গ্রামের মৃত বাজিত মিয়ার ছেলে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সিলেটগামী আন্তঃনগর জয়ন্তিকা এক্সপ্রেস ট্রেনটি লাউয়াছড়া উদ্যানের অভ্যন্তরে প্রবেশ করার সময় হঠাৎ করে যুবক শাহিন রেললাইনের ওপর চলে আসেন। এ সময় তিনি ট্রেনের নিচে কাটা পড়ে গুরুতর আহত হন। ফায়ার সার্ভিসের লোকজন এসে শ্রীমঙ্গল সরকারি হাসপাতালে নিয়ে যায়।
শ্রীমঙ্গল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. শারমীন আক্তার বুধবার রাত ১০টায় দৈনিক খোলা কাগজকে বলেন, রাত পৌনে ৮টার দিকে ট্রেনে কাটা পড়া এক যুবককে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা শ্রীমঙ্গল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন। হাসপাতালে আসার আগেই অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে ওই যুবকের মৃত্যু হয়।
নিহত শাহিন মিয়ার বড় ভাই সেলিম আহমদ মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে দৈনিক খোলা কাগজকে বলেন, আমরা সন্ধায় খবর পেয়েছি আমার ছোট ভাই লাউয়াছড়ায় ট্রেনে কাটা পড়ে এক পা বিচ্ছিন্ন হয়েছে। ফায়ার সার্ভিসের লোকজন তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসার পর এখানের কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে মৃত্যু ঘোষণা করেন। আমার ভাই বিবাহিত এবং সাদিয়া নামে তার ৪ বছরের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। আমরা ৪ ভাই ও ১ বোনের মধ্যে শাহিন সবার ছোট ছিল।
মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে শ্রীমঙ্গল রেলওয়ের থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মওদুত হাওলাদার খোলা কাগজকে বলেন, ট্রেনে কাটা পড়ে পা বিচ্ছিন্ন যুবককে শ্রীমঙ্গল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পর চিকিৎসকরা মৃত্যু ঘোষণা করেন। নিততের লাশ ময়না তদন্ত ছাড়া নেওয়ার জন্য তার পরিবারের পক্ষ থেকে আবেদন করার প্রেক্ষিতে আমরা ঘটনাটি যাচাই বাছাই করে আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছি।
কেকে/এআর