দায়িত্ব নেওয়ার পর দ্বিতীয় ম্যাচে জয় পেলেন কার্লো আনচেলত্তি। ভিনিসিয়ুসের গোলে প্যারাগুয়েকে ১-০ ব্যবধানে হারাল ব্রাজিল। দাপটে খেলা এই জয়ে ২০২৬ বিশ্বকাপের টিকিটও নিশ্চিত হয়ে গেছে ব্রাজিলের।
আগেই বিশ্বকাপ নিশ্চিত করা আর্জেন্টিনা ১০ জনের দলে পরিণত হয়েছিল কলম্বিয়ার বিপক্ষে। তারপরও থিয়াগো আলমাদার গোলে ১-১ গোলের সমতায় মাঠ ছাড়ে তারা।
লাতিন আমেরিকার দ্বিতীয় দল হিসেবে বিশ্বকাপ নিশ্চিত করেছে ব্রাজিল। উরুগুয়ের বিপক্ষে ভেনেজুয়েলার হারে তাদের সামনে তৈরি হয়েছিল সুযোগটা। সেটাই কাজে লাগিয়েছে আনেচেলত্তির দল। রাফিনিয়া ফেরায় উইং দিয়ে বাড়ে আক্রমণের ধার। ১২তম মিনিটে কুনহার ক্রসে ঠিকমত পা লাগালে গোল পেতে পারতেন ভিনিসিয়ুস, সেই সুযোগ নষ্ট করেন তিনি। ৩৫তম মিনিটে গ্যাব্রিয়েল মার্তিনেল্লির ক্রসে খুব কাছ থেকে অবিশ্বাস্যভাবে বাইরে হেড করেন কুনহা।
৪৪তম মিনিটে স্বস্তির গোলটা পায় ব্রাজিল। তিন জনের চ্যালেঞ্জের মুখে রাফিনিয়া বলের নিয়ন্ত্রণ হারালেও ছুটে গিয়ে বল ধরে বাইলাইন থেকে কাটব্যাক করেন কুনহা। এবার দারুণ টোকায় ব্রাজিলের জার্সিতে নিজের সপ্তম গোলটি করেন ভিনিসিয়ুস। এই গোলেই বিশ্বকাপ নিশ্চিত হয় ব্রাজিলের।
সমান ১৬ ম্যাচ শেষে আজেন্টিনার পয়েন্ট ৩৫, ব্রাজিলের ২৫, উরুগুয়ের ২৪, প্যারাগুয়ের ২৪, কলম্বিয়ার ২২ আর ভেনেজুয়েলার ১৮।
গত বছরের সেপ্টেম্বরে কলম্বিয়ার বিপক্ষে সর্বশেষ ম্যাচে হেরেছিল আর্জেন্টিনা। প্রতিশোধের ম্যাচে শুরুর একাদশেই ছিলেন লিওনেল মেসি। বুয়েনেস এইরেসের মনুমেন্টাল স্টেডিয়ামে মেসির দারুণ এক আক্রমণ দিয়ে শুরু করেছিল আর্জেন্টিনা। তবে ২৪ মিনিটে কলম্বিয়াকে এগিয়ে দেন লুইস দিয়াজ।
প্রতি-আক্রমণে কেভিন কাস্তানোর কাছ থেকে মাঝমাঠের কাছাকাছি জায়গায় বল পেয়ে বাঁ প্রান্ত দিয়ে অনেক দূর এগিয়ে গিয়ে ঢুকে পড়েন আর্জেন্টিনার বক্সে। এরপর বক্সে তিন আর্জেন্টাইন ডিফেন্ডারের ফাঁদ এড়িয়ে গোল করেন তিনি। ৩০তম মিনিটে অফসাইডের কারণে বাতিল হয় আর্জেন্টিনার এক গোল।
৭০ মিনিটে এনজো ফার্নান্দেস মাঠ ছাড়েন লাল কার্ড দেখে। কাস্তানোর মাথায় বুট দিয়ে আঘাত করে লাল কার্ড দেখেন তিনি। ৭৭ মিনিটে মেসিকে তুলে নিয়ে কোচ স্কালোনি নামান এজেকিয়েল পালাসিওসকে। ৮১তম মিনিটে ডি বক্সের বাইরে বল পেয়ে ভেতরে ঢুকে আড়াআড়ি শটে গোল করে আর্জেন্টিনাকে রক্ষা করেন আলমাদা।
কেকে/এআর