নোয়াখালীর হাতিয়ার নিঝুমদ্বীপে চুরির সময় গৃহবধূ আমেনা বেগম (৫০) চোরকে চিনে ফেলায় গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে। পরে হত্যার আলামত ঢাকতে মরদেহ ফেলে দেওয়া হয় পাশের পুকুরে। ঘটনার এক সপ্তাহ পর রাব্বী নামে এক আসামিকে আটক করে স্থানীয়রা। তার স্বীকারোক্তিতে চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসে।
পুলিশ জানায়, রাব্বীর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী অপর আসামি আলাউদ্দিনকে ভোলার দৌলতখাঁ এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। তারা দুজনই প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার দায় স্বীকার করেছে।
হাতিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম আজমল হুদা বলেন, মূলত চুরির উদ্দেশ্যে তারা আমেনা বেগমের ঘরে প্রবেশ করে। গৃহবধূ চোরদের চিনে ফেলায় তারা ভয় পেয়ে তাকে গলায় ছুরি চালিয়ে হত্যা করে। পরে শনাক্ত হওয়ার আশঙ্কায় মরদেহ পুকুরে ফেলে দেয়।
পুলিশ জানায়, আটক ফজলে রাব্বী ভোলার চরফ্যাশনের চরমাইনকা ইউনিয়নের আব্দুল মন্নান মাঝির ছেলে এবং আলাউদ্দিন নিঝুমদ্বীপের মো. মাধু ডাকাতের ছেলে। তারা সম্পর্কে বোন জামাই-দুলাভাই। রাব্বী সরকার পরিবর্তনের পর থেকে নিঝুমদ্বীপে অবস্থান করছিল।
ওসি আজমল হুদা আরও জানান, রাব্বী ও আলাউদ্দিন উভয়েই বিভিন্ন অপরাধে জড়িত থাকার প্রমাণ মিলেছে। তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
উল্লেখ্য, গত ২৮ মে (বুধবার) রাত ১০টার দিকে উপজেলার নিঝুমদ্বীপ ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের শতফুল গ্রামের মো. এমরান উদ্দিনের বাড়িতে ঢুকে চোরেরা লুটপাট চালায়। এরপর তার স্ত্রী আমেনা বেগমকে গলা কেটে হত্যা করে। খবর পেয়ে রাত ২টার দিকে নিঝুমদ্বীপ পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যরা মরদেহ উদ্ধার করে।
নিহতা আমেনা বেগম ছিলেন চার কন্যা ও দুই পুত্র সন্তানের জননী। এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
কেকে/এএম