আর মাত্র ৫ দিন বাকি থাকলেও এখনো জমে উঠেনি চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলার অধিকাংশ পশুর হাট। ক্রেতার অপেক্ষায় সময় পার করছেন হাটে আসা ব্যাপারীরা।
শনিবার ও রোববার উপজেলার দাঁতমারা, কাঞ্চুরহাট, নাজিরহাট, নারায়ণহাট, খিরাম দৌলত মুন্সিরহাটসহ বেশকটি হাটে খোঁজ নিয়ে এমন তথ্য জানা গেছে। তবে ব্যাপারীরা জানান, বৃষ্টির জন্য ক্রেতার সংখ্যা কিছুটা কম হলেও আগামী দু-এক দিনের মধ্যে বেচাকেনা শুরু হবে বলে আশা করছেন তারা।
ব্যাপারীরা বলছেন, বৃষ্টির কারণে ক্রেতার সমাগম হচ্ছে না। দু-একজন যারা আসছেন তারাও দাম যাচাই-বাছাই করে ফিরে যাচ্ছেন। এছাড়াও প্রতি বছরের মতো হাটের আকার বড় হলেও গরুর সংখ্যাও পর্যাপ্ত।
সরেজমিনে নারায়ণহাট ও কাঞ্চুরহাটে দেখা যায়, সারাদিন আকাশ ছিল মেঘাচ্ছন্ন। থেমে থেমে মুষুলধারে বৃষ্টি হয়েছে উপজেলার বিভিন্নস্থানে। যার প্রভাব পড়ে পশুরহাটে। নিজেদের লালন করা গরু নিয়ে হাটে হাজির হয়েছে গৃহস্থ, খামারি ও ব্যাপারীরা। তবে বাজারে প্রচুর গরু উঠলেও চোখেপড়ার মতো ক্রেতা ছিল না বাজারে। যার ফলে অলস সময় কাটে বিক্রেতাদের। এছাড়াও বিকালের দিকে অনেক বিক্রেতাকে অবিক্রিত গরু নিয়ে বাড়ি ফিরতেও দেখা যায়।
কাঞ্চননগরের ঝরঝরি এলাকা থেকে কাঞ্চুরহাটে গরু নিয়ে আসা মামুন বলেন, হাটে ক্রেতা নেই, গরুও উঠেনি। সারাদিনে এখনও একটা গরুও বিক্রি হয়নি। হাটে ক্রেতা কম। ঈদের আগে গরুগুলো বিক্রি করতে না পারলে লোকসানের মুখে পড়তে হবে।
দাঁতমারার গরু ব্যাপারী মো. বেলাল ১০টি গরু নিয়ে এসেছেন নারায়ণহাটে বাজারে। তিনি বলেন, আমার সবগুলো গরুই উন্নত জাতের। তবে এখন পর্যন্ত গরু বিক্রি হয়নি। হাটে ক্রেতা কম।
নাজিরহাট পৌরসভার বারৈয়ারহাট এলাকা বাসিন্দা জানে আলম বলেন, হাটে আসলাম, গরু দেখছি। তবে যে গরুই পছন্দ হচ্ছে, তার দাম লাখের ওপরে। হাটে আরো গরু আসুক। দেখা যাক দাম কিছুটা কমে কিনা। এখনও তো সময় আছে।
উপজেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা ডা. আব্দুল মোমিন বলেন, আসন্ন কোরবানির ঈদ উপলক্ষে চাহিদার চেয়ে বেশি পশু প্রস্তুত রয়েছে। তিনি আরো বলেন, সব পশুর হাটে উপজেলা প্রশাসনের সাথে সমন্বয় করে যেখানে প্রয়োজন সেখানে ভ্রাম্যমাণ ভেটেরিনারি ক্লিনিক বসানোর পরিকল্পনা রয়েছে। সেখানে ভেটেরিনারি সার্জন থাকবে, তারা পশুদের চিকিৎসা দেবেন।
কেকে/এজে