কুড়িগ্রামের রৌমারীতে মাদক ব্যবসায়ীকে ছিনিয়ে নিতে পুলিশের ওপর হামলা করা হয়েছে। এ সময় আহত হয়েছেন দুইজন পুলিশ সদস্য। মাদক ব্যবসায়ীদের স্বজন ও এলাকাবাসীর বিরুদ্ধে এ অভিযোগ উঠেছে। এতে আত্ম রক্ষার্থে ৮ রাউন্ড শটগানের গুলি ফাঁকা ফায়ার করে পুলিশ।
মঙ্গলবার (২৭ মে) সকাল সাড়ে ৬টার দিকে উপজেলার যাদুরচর ইউনিয়নের আলগার চর সীমান্ত এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
মাদকসহ আটক দুই মাদক ব্যবসায়ী হলেন, আনোয়ার হোসেন (৪৯) উপজেলার যাদুরচর ইউনিয়নের আলগার চর এলাকার মৃত চাঁন মিয়া একই এলাকার আনোয়ার হোসেনের ছেলে মানিক মিয়া (২৯)। তবে এরশাদ (৩৭), ইসমাইল (৪০) নামের দুই মাদক ব্যবসায়ী পালিয়ে যায়।
আহত পুলিশ সদস্যরা হলেন- এএসআই মনির হোসেন ও কনস্টেবল রাকিবুল।
রৌমারী থানার ওসি লুৎফর রহমান জানান, মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলা যাদুরচর ইউনিয়নের আলগার চর এলাকায় আনোয়ার হোসেন (৪৯), মানিক মিয়া (২৯), এরশাদ (৩৭), ইসমাইল (৪০) নামের মাদক বাবসায়ীদের বাড়িতে অভিযান চালায় (ওসি) তিনি ও তার সঙ্গীয় ওসি (তদন্ত) নন্দলাল চৌধুরীসহ পুলিশের একটি দল। এ সময় তাদের বসতবাড়ীতে তল্লশি করে তাদের হেফাজতে থাকা চার কেজি ৫০০ গ্রাম গাঁজা, তিন হাজার ৪৫ পিস ইয়াবাসহ তাদের আটক করা হয়।
এ সময় জব্দ করা হয় ৪টি ১০০ রুপির নোট ও বিভিন্ন ব্র্যান্ডের তিন মোবাইল ফোন। আটক মাদক ব্যবসায়ী ও জব্দকৃত মালামালসহ মাদক ব্যবসায়ী বসতবাড়ি থেকে বের হওয়ার রাস্তায় আসলে আটক মাদক ব্যবসায়ীদের স্বজন ও এলাকাবাসী মিলে আটক মাদক ব্যবসায়ীদের ছিনিয়ে নেওয়ার জন্য দেশিয় অস্ত্র, লাঠি, সোঠা, হাসুয়া, কাঁচি, চাপাতি নিয়ে পুলিশের ওপর অতর্কিত হামলা চালায় ও ইটপাটকেল ছুড়তে থাকেন অভিযুক্তরা। এ সময় আহত হন এএসআই মনির হোসেন, কনস্টেবল রাকিবুল। এক পর্যায়ে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টাকালে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। তখন আত্ম রক্ষার্থে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য ৮ রাউন্ড শটগানের গুলি ফাঁকা ফায়ার করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা হয়। পরে ওই এলাকা থেকে আটক দুইজন মাদক ব্যবসায়ী ও উদ্ধার মাদকসহ নৌকা দিয়ে নদী পথে পার হয়ে থানায় আসে পুলিশ।
ওসি আরো বলেন, ওই সময় মাদক ব্যবসায়ী মানিক ও আনোয়ারকে আটক করা হয়েছে। অপর দুই মাদক ব্যবসায়ী ইসমাইল, এরশাদ পলাতক রয়েছে। এছাড়া আহত পুলিশ সদস্যদের চিকিৎসার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। আহত এএসআই মনির হোসেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। কনস্টেবল রাকিবুল প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে থানায় আসেন।
কেকে/ এমএস