কুমিল্লায় তিন দিনব্যাপি কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৬তম জন্মবার্ষিকীর অনুষ্ঠান জেলা শিল্পকলা একাডেমি প্রাঙ্গণে বেলুন উড়িয়ে উদ্বোধন করেন সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী।
রোববার (২৫ মে) কুমিল্লা জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে বিকাল ৩টায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী।
কবি নজরুলের জন্মবার্ষিকীতে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সহযোগিতায় এবং কুমিল্লা জেলা প্রশাসনের ব্যবস্থাপনায় কুমিল্লা শিল্পকলা একাডেমিতে ২৫, ২৬ ও ২৭ মে জাতীয় পর্যায়ে তিন দিনের বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠান উদ্যাপিত হবে। এবারের প্রতিপাদ্য ‘চব্বিশের গণঅভ্যুত্থান : কাজী নজরুলের উত্তরাধিকার’।
উদ্বোধন শেষে সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী বলেন, নজরুল জানতে একটা বিশেষ সময় এসেছে আমাদের দেশে। ৫ আগস্টের পরে আমরা একটি নতুন অধ্যায়ে প্রবেশ করেছি। আপনার যদি গত জুলাই মাসজুড়ে আন্দোলনের দিকে তাকান তাহলে দেখবেন নজরুল কী রকমভাবে প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠেছিল। দেয়ালের লেখনিতে দেখবেন নজরুলের কবিতা গান কীভাবে ব্যবহৃত হয়েছিল এবং এটা কিন্তু শিল্পের শক্তি যে আজ থেকে ১০০ বছর আগে তিনি কোথায় বসে গান কবিতা লিখেছেন তিনি তখনও জানতেন না বাংলাদেশের মানুষ তার গান ও কবিতার অবলম্বন হয়ে উঠবে। আর ওপরে অবলম্বন করে তারা একটি বড় গণঅভ্যুত্থান পরিচালনা করবে। শিল্পের শক্তি নজরুলের শক্তি।
এ সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের তিনি বলেন, নজরুলের স্মৃতি অবহেলিত। আমি জানি কিন্তু আমরা স্মৃতি রক্ষা শুরু করি কিন্তু স্মৃতি সংরক্ষণ করি না। এটি আমাদের খারাপ দিক। তবে আমাদের সুনজর রয়েছে। নজরুলের স্মৃতি ধরে রাখার জন্য আমাদের চেষ্টা থাকবে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালক মো. লতিফুল ইসলাম শিবলী, সংস্কৃতিবিষয়ক সচিব মো. মফিদুর রহমান, কুমিল্লা জেলা প্রশাসক মো. আমিরুল কায়সার, জেলা পুলিশ সুপার নাজির আহমেদ খানসহ আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ। পরে শিল্পকলা একাডেমি প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হয় আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
আলোচনা শেষে একাডেমির বিশেষ নিবেদন ‘চেতনা ও জাগরণে নজরুল’ শীর্ষক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়। দ্বিতীয় দিনও আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হবে।
কেকে/এএম