পাবনার ঈশ্বরদীতে বালুমহালের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন ছয়জন। আহতদের মধ্যে দুজনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং বাকিদের ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২২ মে) সকাল ৮টার দিকে উপজেলার পদ্মা নদীর সাঁড়া ঘাটের চর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঈশ্বরদী লক্ষ্মীকুন্ডা নৌপুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এমরান মাহমুদ তুহিন।
আহতরা হলেন—ঈশ্বরদী উপজেলার রুপপুর গ্রামের রেজাউল হক লালু, তালতলা এলাকার সানাউল্লাহ প্রামাণিক, রুপপুর তিন বটতলা এলাকার চপল হোসেন কালু, কুষ্টিয়া ভেড়ামারা উপজেলার চাঁদগ্রাম এলাকার মৃত জামবার আলীর ছেলে সেলিম আহমেদ, একই এলাকার মৃত শুকুর আলীর ছেলে সৈকত ইসলাম, গোলাপনগর গ্রামের রিপন হোসেন।
তাদের মধ্যে সেলিম আহমেদ ও সৈকত ইসলামকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, পদ্মা নদীর ঈশ্বরদীর সাঁড়া অংশের বালুমহালের ইজারাদার সুলতান আলী বিশ্বাস টনি (উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক)। অপরদিকে পাশের লালপুর চর এলাকার বালুমহাল ইজারা নিয়েছেন শহিদুল ইসলামের মালিকানাধীন মোল্লা ট্রেডার্স। দীর্ঘ দিন ধরে এই দুই পক্ষের মধ্যে বালু উত্তোলনের অধিকার নিয়ে উত্তেজনা চলছিল।
বৃহস্পতিবার সকালে সুলতান আলী বিশ্বাসের পক্ষের লোকজন বালু উত্তোলনের জন্য নদীতে গেলে প্রতিপক্ষ তিনটি নৌকা নিয়ে এসে হামলা চালায়। এ সময় দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। এতে ছয়জন গুলিবিদ্ধ হন।
সুলতান আলী বিশ্বাস টনি বলেন, সকালে আমাদের লোকজন নিয়মমাফিক বালু উত্তোলনে গেলে প্রতিপক্ষ অতর্কিতে তিনটি নৌকায় করে এসে হামলা চালায়। এতে আমাদের ছয়জন গুলিবিদ্ধ হন।
তবে শহিদুল ইসলাম পক্ষের কেউ এ বিষয়ে মন্তব্য করতে রাজি হননি এবং যোগাযোগের চেষ্টা করেও তার সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
নৌপুলিশ ইনচার্জ এমরান মাহমুদ তুহিন বলেন, সংঘর্ষে ছয়জন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে মোতায়েন রয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
কেকে/এএম