ঢাকার কেরানীগঞ্জে যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি চেষ্টাকালে ৫ ডাকাতকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (৬ মে) রাত ৯ টার দিকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
এ সময় তাদের কাছ থেকে ছিনতাই/ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত সাদা হাইস গাড়ী, পুলিশের হাতকড়া, ডিবি পুলিশের পোষাক, শর্ট মেশিনসহ দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।
আটকৃতরা হল, বরিশালের গৌরনদী এলাকার মো. রুবেল(৪০), কিশোরগঞ্জ জেলার দুলু মিয়া (৪৫), নেত্রকোনা জেলার উৎপল(৪৬), মো. শরিফুল ইসলাম (৩৮) ও মো. আরিফ(৪২)।
প্রত্যক্ষদর্শী যুবক ইউসুফ জাহান জানান, মাগরিবের আগ মুহূর্তে তুলসিখালি এলাকা হতে আমার মোবাইলে একটি ফোন আসে যে একটি হাইস গাড়িতে করে পাঁচ সাত জন ডাকাত কেরানীগঞ্জে প্রবেশ করছে। আমি শোনামাত্রই স্থানীয় লোকজন নিয়ে রোহিতপুর বোর্ডিং মার্কেট এলাকায় রাস্তা অবরোধ করে তাদের আটক করি। পরে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ তাদের থানায় নিয়ে যায়।
তুলশীখালী এলাকার যুবক মুকুল জানান, আমরা ঘটনাস্থলেই ছিলাম, এ সময় একটি সাদা মাইক্রোবাসে (মেট্রো-চ ১৯-৩৬৮৩) করে বেশ কয়েকজন লোক ডিবি পুলিশ পরিচয়ে গুলিস্তান হতে বান্দুরা গামী নবকলী পরিবহনের একটি বাস থানিয়ে তল্লাশি শুরু করে। এ সময় তারা কাউকে গাড়ি থেকে নামতে দেয়নি, তবে স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে উদ্দেশ্য করে তারা ভয় ভীতি দেখাতে শুরু করে এবং দুই স্বর্ণ ব্যবসায়ীর একজনকে তারা টেনে হেঁচড়ে গাড়ি থেকে নামিয়ে নিয়ে আসে। এ সময় সাথে থাকা অপর ব্যবসায়ী তার মালামাল নিয়ে গাড়ি থেকে নেমে পাশের ডুবায় নেমে যায়। পরে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এলে তারা দ্রুত গতিতে কেরানীগঞ্জের দিকে চলে যায়।
তিনি আরো জানান, দুই ব্যবসায়ী রাজধানীর নয়াবাজার এলাকা হতে নবাবগঞ্জে যাচ্ছিলেন এ সময়ে তাদের পিছু নেয় ডাকাত দলটি। তুলসিখালী এলাকার ফাঁকা জায়গায় বাস থামিয়ে তারা এ কাজ করছিল। আমরা এর উপযুক্ত বিচার চাই।
কেরানীগঞ্জ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মনিরুল হক ডাবলু ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, আটককৃতদের থানা হেফাজতে রাখা হয়েছে। এ ঘটনায় একটি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। ঘটনার বিস্তারিত আগামীকাল প্রেস ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে জানানো হবে।
কেকে/এআর