কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে কালবৈশাখীতে বড়ভিটা বাজারের ১৪ দোকান-পাটের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। তবে ঝড়ে বড় ধরনের হতাহতের কোনো খবর পাওয়া না গেলেও দুজন পথচারীর সামান্য আহত হয়েছে। আহত পথচারীরা হলেন- আব্দুস সোবহান ও রতন মিয়া।
শনিবার (২৬ এপ্রিল) রাত ১১টার দিকে আকস্মিকভাবে কালবৈশাখীটি উপজেলার বড়ভিটা ইউনিয়নের বড়ভিটা বাজারের ওপর দিয়ে বয়ে যায়। আজ দুপুরে বড়ভিটা বাজারে গিয়ে দেখা গেছে, ১৪টি দোকানপাট লন্ডভন্ড হওয়ার চিত্র।
এ সময় ব্যবসায়ীরা দুমড়েমুছড়ে পড়া গাছটির সড়ানোর চেষ্টা করছেন। ব্যবসায়ী ও বাজারে স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে ১৪ দোকানের মালামাল একটিও রক্ষা করতে পারেনি। দোকানে থাকা ফ্রিজ টেলিভিশন ভেঙে ও পানিতে ভিজে সবকিছুই নষ্ট হয়ে গেছে। এতে প্রায় ৬০-৭০ লাখ টাকার ক্ষযক্ষতি হয়েছে বলে দাবি ব্যবসায়ী ও স্থানীয়দের।
ক্ষতিগ্রস্ত আইয়ুব আলী, হাফেজ আলী, জমসেদ আলী ও এমদাদুল হক জানান, শনিবার রাতে হঠাৎ কালবৈশাখীতে ৫০ বছরের বিশাল আকৃতির বটগাছটি পড়ে আমাদের প্রত্যেকের দোকান লন্ডভন্ড করে দিয়েছে। খবর পেয়ে আমরা ছুটে এসেও দোকানের কোনো মালামাল রক্ষা করতে পারিনি। আমার দোকানের প্রায় ১৫ থেকে ১৮ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। তারা আরো জানান সব দোকান মিলে প্রায় ৬০-৭০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। এই মুহূর্তে সরকার যদি আমাদের সহযোগিতা না করে তাহলে আমাদের পথে বসতে হবে।
বড়ভিটা ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মোছা. জান্নাতি খাতুন জানান, আকস্মিক ঝড়ে বড়ভিটা বাজারের ৫০ বছরের পুরাতন বটগাছটি দুমড়েমুছড়ে পড়ে বাজারের মোট ১৪টি দোকান বিধ্বস্ত হয়েছে। ২টি দোকান আংশিক ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের তালিকা করে নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মহোদয়কে জানানো হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) রেহেনুমা তারান্নুম জানান, রোববার সকালে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের তালিকা করা হয়েছে। ইতোমধ্যে সেই তালিকা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। বরাদ্দ আসলে তাদের মাঝে দেওয়া হবে।
কেকে/ এএস