কক্সবাজারের রামু উপজেলার কাউয়ারখোপে একটি সড়কের বেহাল অবস্থার কারণে চরম দুর্ভোগে রয়েছেন স্থানীয়রা। এই একটি সড়কের কারণে হাজারো মানুষের অবস্থা চরম দুভোর্গে পড়েছে বলে জানা গেছে।
খানাখন্দ ও ধুলাবালিতে ভরা সড়কটি এখন স্থানীয়দের কাছে প্রধান বাঁধা হয়ে দাড়িয়েছে। এই ধুলাবালির কারণে শিশু থেকে বৃদ্ধরা পর্যন্ত বিভিন্ন জটিল রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। কাউয়ারখোপ ইউনিয়নের উখিয়ারঘোনা স্কুল পাড়া থেকে সওদাগর পাড়া স্টেশন পর্যন্ত এই সড়কটি প্রায় দীর্ঘ ৯০০ মিটার। এ নিয়ে দীর্ঘযুগ ধরে স্থানীয়রা সড়ক নির্মাণের আকুতি জানালেও ভোগান্তি থেকে রেহায় পায়নি। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর সড়কটির কাজ বাস্তবায়ন করলেও এখন কাজ বন্ধ থাকায় আরো বেহাল অবস্থায় পরিণত হয়েছে।
নিত্যপণ্য সামগ্রী ও প্রয়োজনীয় কাজে প্রতিদিন স্থানীয়দের সড়কটি অতিক্রম করে যেতে হয় স্টেশনে। খানাখন্দ বেশী হওয়াতে গাড়ি চালাতে যেমন কষ্টসাধ্য, তেমনি কষ্ট থেকে যাত্রীরাও রেহায় পাচ্ছে না। এ ছাড়া শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের প্রধান সমস্যার কারণ হয়ে দাড়িয়েছে ধুলোবালি মাখা সড়কটি।
শিক্ষার্থীরা জানান, ধুলাবালির কারণে হাঁটাচলা করা প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়েছে। নষ্ট হচ্ছে পরনের স্কুল ড্রেস সেই সাথে হাঁচি কাশি বাড়ছে বলেও জানান তারা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, এই সড়কে কয়েকটি ইটভাটা থাকার ফলে প্রতিদিন শতাধিক ট্রাক-পিকআপ চলাচলের কারনে সড়কের অবস্থা আরো নাজুক হয়ে যাচ্ছে।
পথচারীরা অভিযোগ করেন, প্রতি মৌসুমে এ সড়কে যাতায়াত করা কঠিন চ্যালেঞ্জ। শীত ও গ্রীষ্মে ধুলাবালির কারণে শ্বাসকষ্টের সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে শিশু তেকে বৃদ্ধদের পর্যন্ত। আবার বর্ষায় কাদা-পানিতে সড়কটি চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। কিছুদিরে মধ্যে সংস্কার করা না গেলে আসছে বর্ষায় বেহাল অবস্থায় পরিণত হবে এবং হাজারো মানুষ চলাচল ভোন্তিতে পড়বে ।
ফয়সাল নামের একজন স্থানীয় জানান, সড়কের কিছু অংশে কাজ চললেও পরে তা বন্ধ হয়ে যায়। যার ফলে সড়কটি আরও বেশি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে।
ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, সওদাগর পাড়া স্টেশন এলাকার ব্যবসা-বাণিজ্য ও পণ্য পরিবহন মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। এই সড়ক দিয়ে বাজারে যেতে ও মালামাল পরিবহন করতে অনেক কষ্ট হচ্ছে। শিশুদের স্কুলেও আসা-যাওয়ার সমস্যা হয়ে দাড়িয়েছে।
এদিকে উপজেলা এলজিইডি অফিস সূত্রে জানা যায়, সড়কটি সংস্কারের জন্য সরকারিভাবে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছিলো। কিন্তু নির্মাণের দায়িত্ব পাওয়া ঠিকাদার অল্প কাজ শুরু করতে না করতেই পালিয়ে যায়। ঠিকাদারকে সড়কের কাজ পুনরায় শুরু করার তাগিদ দেয়া হলেও তিনি কাজটি বাস্তবায়ন করেননি। যার ফলে উপজেলা প্রকৌশলী কাজটি বাতিল করার জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে চিঠি প্রদান করেছে বলে জানা যায়। এলাকাবাসী অভিযোগ করেছেন, দীর্ঘদিন ধরে এ সমস্যা চলতে থাকলেও কোন জনপ্রতিনিধি ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ পুনরায় সংস্কারের কোনো কার্যকর উদ্যোগ নেয়নি।
কেকে/এআর