ঢাকার ধামরাইয়ে পরকীয়া প্রেমিককে সঙ্গে নিয়ে স্বামীকে হত্যার ঘটনায় দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) সকালে ধামরাই থানায় এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ঢাকা জেলার পুলিশের সাভার সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. শাহীনুর কবির। এর আগে, বৃহস্পতিবার বিশেষ অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতাররা হলেন ধামরাইয়ের সোমভাগ ইউনিয়নের দেপাশাই উত্তর পাড়া আশ্রয়ণ কেন্দ্রের বাসিন্দা মো. তোফাজ্জল মিয়া (৪৮) ও ধামরাইয়ের সানোড়া ইউনিয়নের বাটুলিয়া এলাকার জয়তুন (৪০)। তারা স্বামী

পুলিশ সংবাদ সম্মেলনে জানায়, গত ২০ এপ্রিল সকাল ১০টার দিকে প্রতিদিনের মতো অটোরিকশা নিয়ে বের হন ভুক্তভোগী। এরপর সন্ধ্যা ৬টার দিকে অজ্ঞাতরা তাকে হত্যা করে ধামরাই উপজেলা পরিষদের নির্মাণাধীন নতুন ভবনের ৪ তলার উত্তর পশ্চিম পাশের টয়লেটে ফেলে রেখে যায়।

পুলিশ আরো জানায়, গ্রেফতার দুজনের মধ্যে গেল এক বছর ধরে পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক ছিল। গত ২০ এপ্রিলের ৫-৬ দিন আগে তারা মোহাম্মদ আলীকে হত্যার পরিকল্পনা করে। সেই অনুযায়ী ২০ এপ্রিল বেলা ১১টার দিকে ডুররো বাঁশ কেনার কথা বলে তাকে উপজেলা পরিষদের নির্মাণাধীন নতুন ভবনের চতুর্থ তলায় নিয়ে যায়।

সেখানেই কথাবার্তার একপর্যায়ে তোফাজ্জল ইট দিয়ে মোহাম্মদ আলীর মাথায় আঘাত করে। এতে ভুক্তভোগী অজ্ঞান হয়ে যান। তাকে উত্তর পশ্চিম পাশের টয়লেটে ফেলে জয়তুনকে ঘটনা জানায় তোফাজ্জল। একপর্যায়ে জয়তুন ঘটনাস্থলে এসে চাকু দিয়ে ভুক্তভোগীর মাথা ও পিঠে একাধিক আঘাতে জখম করে মৃত্যু নিশ্চিত করে সেখানে ফেলে চলে যায়। এরপর তিনি ভুক্তভোগীকে খোঁজাখুঁজি করতে থাকেন। সন্ধ্যা ৬টার দিকে স্থানীয় শিশুরা ওই ভবনে খেলাধুলা করতে গিয়ে মরদেহটি দেখতে পায়। পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে মরদেহ উদ্ধার করে।

এ ঘটনায় দায়ের করা মামলার ভিত্তিতে তদন্ত করে প্রথমে তোফাজ্জল মিয়াকে গ্রেফতার করা হয়। তার দেওয়া তথ্যে জয়তুনকেও গ্রেফতার করা হয়। তাদের দেওয়া স্বীকারোক্তি ও তথ্যের ভিত্তিতে হত্যায় ব্যবহৃত একটি চাকু উদ্ধার করা হয়।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. শাহিনুর কবির বলেন, গ্রেফতার আসামিদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।

এর আগে, গত ২০ এপ্রিল ধামরাই উপজেলা পরিষদের নির্মাণাধীন নতুন ভবন থেকে মো. আলী (৩৮) নামে এক অটোচালকের রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত মো. আলি উপজেলার কালামপুর বাটুলিয়া এলাকার খোরশেদ আলমের ছেলে। তিনি পেশায় অটোরিকশা চালক ছিলেন।

কেকে/এএস