প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ১০ এপ্রিল, ২০২৫, ৭:৫৪ পিএম

পরীক্ষা দিতে না পারা ১৩ পরীক্ষার্থী। ছবি : প্রতিনিধি
কক্সবাজারের উখিয়ার হলদিয়া পালং ইউনিয়নের ‘হলদিয়া পালং আদর্শ বিদ্যানিকেতন’ নামে এক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য চলমান এসএসসি পরীক্ষার অ্যাডমিট কার্ড না আসায় ১৩ পরীক্ষার্থী পরীক্ষা দিতে না পেরে সকালে স্কুলে তালা দিয়ে সড়ক অবরোধ করেছে।
বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) এসএসসি পরীক্ষা শুরুর পূর্বেই সকালে ১৩ পরীক্ষার্থীকে প্রবেশপত্র দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সকালে প্রবেশপত্র সংগ্রহ করতে গিয়ে দেখেন বিদ্যালয়ের গেটে তালা ঝুলানো।
জানা যায়, সকালে ১৩ শিক্ষার্থীকে প্রবেশপত্র না দেওয়ায় বিদ্যালয় ঘেরাও করে অভিভাবক ও সাধারণ এলাকাবাসীরা। পরে বিদ্যালয়ের গেটে তালা দিয়ে শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষেরা বিক্ষোভ মিছিলও করেন। এমন পরিস্থিতির শিকার হয়ে বিদ্যালয় ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হন শিক্ষক ও স্কুল কর্তৃপক্ষ। এমন ঘটনার খবর পেয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে জনতার হাত থেকে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ ইউনুছকে পুলিশ হেফাজতে নেন।
পরবর্তীতে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে যোগাযোগ করেও প্রবেশপত্র না পেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন পরীক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীদের দাবি, ‘প্রবেশপত্র ফি, রেজিষ্ট্রেশন ফি ও ফরম পূরনের জন্য বিভিন্ন অংকের টাকা দাবি করলেও ১৩ পরীক্ষার্থী যথাসময়ে তাদের রেজিস্ট্রেশন ফি, ফরম পূরণের টাকা ও প্রবেশপত্র ফি, পরিশোধ করেন। কিন্তু অদৃশ্য কারণে ফরম ফিলাপ, রেজিষ্ট্রেশন হয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে ৷ একপর্যায়ে হতাশ পরীক্ষার্থীরা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে।
পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে না পারা পরীক্ষার্থীর অভিভাবক নুর আলম জানান, ‘আমার মেয়ের ফরম পূরণের টাকাও দিয়েছি। সকালে এ্যাডমিড আর প্রবেশপত্র দেওয়ার কথা ছিল।’
এ বিষয়ে উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার বদরুল আলম জানান, এই বিদ্যালয়ে ১০ম শ্রেণীতে পড়ুয়া ১৩জন শিক্ষার্থী ছিলো তারা পরিক্ষা দিতে না পারার বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা চলছে৷ এই বিদ্যালয়ের একজনেরও ফরম ফিলাপ হয়নি৷
বিষয়টি নিশ্চিত করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ কামরুল হোসেন চৌধুরী জানান, ‘উখিয়া হলদিয়া পালং আদর্শ বিদ্যানিকেতন নামে একটি প্রতিষ্ঠানের ১৩ জন শিক্ষার্থী প্রবেশপত্র না পেয়ে পরীক্ষা দিতে পারছে না এমন অভিযোগ পেয়েছি। বিদ্যালয়টির কর্তৃপক্ষ আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেন পরীক্ষা শুরুর ৩০ মিনিট আগে। পরে আমি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে জানতে পারি যে, তারা বোর্ডে ফরমও পূরণ করেনি। মূলত ব্যাঙের ছাতার মতো গড়ে উঠা এসব প্রতিষ্ঠানের কারণে শিক্ষার্থীদের জীবন নষ্ট হচ্ছে। এই বিদ্যালয় থেকে প্রধান শিক্ষককে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। এমন ঘটনায় যারা জড়িত সকলের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আরিফ হোসাইন জানান, ‘ঘটনার শুনে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে প্রধান শিক্ষককে আটক করা হয়েছে। এই ঘটনার সাথে যারা জড়িত তাদেন বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।’
কেকে/ এমএস