বাংলাদেশের একমাত্র কার্প জাতীয় মাছের প্রাকৃতিক প্রজনন ক্ষেত্রে ও মৎস্য অভয়ারণ্য হালদা নদীতে থামছে না অবৈধ উপায়ে মৎস্য শিকার। রাউজান উপজেলা মৎস্য অধিদফতর অভিযানে প্রায় প্রতিদিন হালদা নদীর কোথাও না কোথাও উদ্ধার হচ্ছে ঘেরজাল ও কারেন্ট।
মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টার দিকে রাউজান সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন আজাদী ও নৌপুলিশের যৌথ অভিযানে কর্ণফুলীর মোহনা হতে অবৈধ ৩ মৎস্য শিকারীকে আটক করা হয়।
এসময় মৎস্য শিকারে ব্যবহৃত ৫ হাজার মিটার কারেন্ট জাল ও ৩ হাজার মিটার ঘেরজাল উদ্ধার হয়। যার আনুমানিক মূল্য ২ লাখ ৬০ হাজার টাকা।
পরবর্তীতে সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. আলমগীর হোসেনের প্রসিকিউশনে রাউজান উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) অং ছিং মারমার পরিচালিত ভ্রাম্যমান আদালত তাদেরকে জনপ্রতি ৩ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড প্রদান করে ছেড়ে দেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন নগরীর মোহরার ধনঞ্জয় দাসের ছেলে প্রভাস দাশ, বোয়ালখালী উপজেলার পশ্চিম কদুরখীলের নির্মল দাসের ছেলে রাজু দাশ ও একই এলাকার অশ্বিনী দাসের ছেলে রঞ্জিত দাস।
বিষয়টি নিশ্চিত করে রাউজান সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন আজাদী বলেন, উদ্ধারকৃত জাল পুড়িয়ে বিনষ্ট করা হয়েছে। বিনষ্টকৃত জালের আনুমানিক মুল্য প্রায় ২ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা।
তিনি আরো বলেন, হালদা নদীর ছত্তারঘাট ব্রিজের উপরের দিকে ছিপাতলী,আলীমের কুম ও কোতোয়ালি ঘোনায় দিকে ঘেরজাল দেয়ার প্রবণতা বেশি দেখা যায় এবং মদুনাঘাট ব্রিজ থেকে নিচের দিকে মোহনা পর্যন্ত ঘেরজাল ও ফাঁসজাল দুই ধরনের জাল দেয়ার প্রবণতা বেশি। মৎস্য দফতর রাউজান ও হালদা অস্থায়ী ফাঁড়ির নৌ পুলিশের সমন্বিত উদ্যোগে হালদা নদীতে প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজননক্ষেত্র উন্নয়ন, সংরক্ষণ ও মৎস্য সম্পদ রক্ষায় এ জাতীয় কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
কেকে/ এমএস