সোনালি রঙের এক বিস্ময়কর ধর্মীয় স্থাপনা, টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলার নগদা শিমলা ইউনিয়নের দক্ষিণ থালিয়া গ্রামের ২০১ গম্বুজ মসজিদ। এটি বিশ্বের সবচেয়ে বেশি গম্বুজবিশিষ্ট মসজিদ। ঈদুল ফিতর উপলক্ষে টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলার পাথালিয়ায় নির্মাণাধীন এই জামে মসজিদ কমপ্লেক্স দেখতে দর্শনার্থীদের উপচেপড়া ভিড় জমেছে। দেশের নানা প্রান্ত থেকে হাজারো মানুষ ঈদের ছুটিতে ধর্মীয় এই স্থাপনাটি দেখতে আসছেন। ছোট শিশু থেকে শুরু করে সব বয়সের মানুষের আনাগোনায় মুখর হয়ে উঠেছে মসজিদ প্রাঙ্গণ।
২০১ গম্বুজ মসজিদটির নির্মাণকাজ পরিচালিত হচ্ছে বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. রফিকুল ইসলাম কল্যাণ ট্রাস্টের উদ্যোগে। ২০১৩ সালের ১৩ জানুয়ারি বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব রফিকুল ইসলামের মা রিজিয়া খাতুনের নামে এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়। মসজিদটির ৯০ শতাংশ কাজ ইতোমধ্যেই সম্পন্ন হয়েছে। বাকি কাজ শেষ হলে পবিত্র কাবা শরীফের ইমামের উপস্থিতিতে এটি আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হবে বলে জানিয়েছেন মসজিদ কর্তৃপক্ষ।
মসজিদের ছাদে রয়েছে ২০১টি গম্বুজ, যা এটিকে অনন্য বৈশিষ্ট্য প্রদান করেছে। মসজিদের দেয়ালে পিতলে খোদাই করে লেখা হয়েছে সম্পূর্ণ ৩০ পারা পবিত্র কোরআন শরীফ। পাশাপাশি, এর সৌন্দর্য আরো বাড়াতে ৪৫১ ফুট উচ্চতার একটি মিনার নির্মাণ করা হচ্ছে, যা নির্মাণ সম্পন্ন হলে দিল্লির কুতুব মিনারকে ছাড়িয়ে যাবে। এই মিনার থেকেই প্রতিদিন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের আজান প্রচারিত হবে। ইতোমধ্যেই অনানুষ্ঠানিকভাবে মসজিদে নামাজ আদায় শুরু হয়েছে এবং প্রতি জুমায় দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বিজ্ঞ আলেমগণ এখানে খুতবা প্রদান করছেন।
ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মসজিদটির ছবি ও বিবরণ দেখে উৎসাহী হয়ে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে দর্শনার্থীরা আসছেন।
ঢাকার বাসিন্দা শরিফুল হক সপরিবারে মসজিদটি দেখে বলেন, ইতিহাসের পাতায় এই অনন্য স্থাপত্য কালজয়ী হয়ে থাকবে। পরিবারের সদস্যরা অনেক দিন ধরে মসজিদটি দেখার আগ্রহ প্রকাশ করে আসছিল। সময়ের অভাবে হচ্ছিল না, ঈদের ছুটি পেয়ে দেখতে এলাম। স্বচক্ষে দেখে মনটা ভরে গেল।
বগুড়ার দর্শনার্থী রফিক মিয়া জানান, লোকমুখে শুনে মসজিদটি দেখার বাসনা মনের মধ্যে জেগেছিল। এত সুন্দর মসজিদ নির্মাণ করা হচ্ছে জেনে আমরা খুবই আনন্দিত। মসজিদের কারুকার্য দেখে মুগ্ধ হয়েছি।
কেকে/এএম