ঢাকা, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪ | ১২ শ্রাবণ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

মেছতার কারণ ও চিকিৎসা

অনলাইন ডেস্ক
🕐 ১:২৭ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ২০, ২০২৩

মেছতার কারণ ও চিকিৎসা

প্রতিদিন চেম্বারে বসে যে রোগীগুলো দেখি তার একটি বড় অংশজুড়ে আছে মুখের বিভিন্ন ধরনের কালো দাগের সমস্যা। আমাদের যে আবহাওয়া, যে ধরনের লাইফস্টাইল তাতে ছেলে-মেয়ে সবারই এ ধরনের সমস্যা আমরা দেখতে পাই। বয়সের ক্ষেত্রে ঠিক তাই।

 

মুখের বিভিন্ন ধরনের কালো দাগ নিয়ে সবচেয়ে বেশি যে সমস্যাটা দেখা যায় সেটি হচ্ছে- ব্রণের সমস্যা। তাছাড়া রোদেপোড়া দাগ, ছোট-বড় তিল, ব্রণের দাগ, অ্যালার্জিজনিত কারণে কখনো কখনো কিছু কালো দাগ, তাছাড়া চোখের চারপাশের কালো দাগ ও চোখের নিচের গর্ত। আজকে মূলত কথা বলব মেছতার সমস্যা নিয়ে।

কী এই মেছতা?
এটি একটি বাদামি রঙের দাগ। সাধারণত গালে, নাকের ওপরে, কপালে ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে দেখা যায়।

বিভিন্ন কারণে হতে পারে : সূর্য রশ্মি, চুলার কাছে দীর্ঘ সময় ধরে কাজ করলে কিছু হরমোন, যেমন প্রেগন্যান্সিতে হরমোন রিপ্লেসম্যান্ট থেরাপি, জন্ম বিরতিকরণ পিল গ্রহণের কারণেও এটা হতে পারে। রং ফর্সা হওয়ার জন্য বাজারে বিভিন্ন ধরনের মেডিসিন পাওয়া যায়। এগুলোতে ক্ষতিকারক বিভিন্ন রাসায়নিক থাকে যা মেছতা হওয়ার বড় কারণ।

(১) মেছতার চিকিৎসায়-এ কার্যকরী কিছু মেডিসিনের মধ্যে একটি হচ্ছে Hydrogeinane|। আরও অনেক ক্রিম আছে যেগুলো চিকিৎসক রোগীর অবস্থা বুঝেই তাকে দিতে পারবেন।

(২) সানব্লক অনেক গুরুত্বপূর্ণ এ ধরনের রোগীদের জন্য।

(৩) আধুনিক চিকিৎসাব্যবস্থায় অনেক কিছুই আছে যা মেছতার জন্য ব্যবহার করে ভালো ফলাফলও পাচ্ছি। তার মধ্যে অন্যতম হলো Chemical Peeling; PRP; Microneedling, mesotherapy, Dermal infusion।

লেখক : কনসাল্ট ডার্মাটোলজিস্ট, ইডব্লিউ ভিলা মেডিকা বাংলাদেশ, ঢাকা

 
Electronic Paper