ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে পূর্ব শত্রুতা ও নদীতে গোসল করাকে কেন্দ্র করে পরমেশ্বরদী গ্রাম ও তেলজুড়ী বাজারে পরিকল্পিত হামলা চালিয়েছে সালথা উপজেলার খারদিয়া গ্রামের কয়েকজন। খবর পেয়ে সেনাবাহিনী ও পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয় এবং দেশীয় অস্ত্রসহ দুইজনকে আটক করে।সোমবার (২৪ নভেম্বর) সকালে শেখর ইউনিয়নের তেলজুড়ী এলাকায় ঘটনাটি ঘটে। আহতদের মধ্যে ১৫ জন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নেন, পাঁচজনকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। বাকিরা প্রাথমিক চিকিৎসা নেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, গত ১৬ নভেম্বর নদীতে গোসল নিয়ে দুই শিশুর মারামারির জের ধরে ২২ নভেম্বর শালিশ বৈঠক হয়, কিন্তু একপক্ষ সন্তুষ্ট না হওয়ায় পুনরায় উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। এরই ধারাবাহিকতায় খারদিয়া ও পরমেশ্বরদীর একাংশের লোকজন তেলজুড়ী বাজার ও পরমেশ্বরদী পশ্চিমপাড়ায় অতর্কিত হামলা চালায়।
এতে আফতাব (৪২), নাদেন (২৪), রেজাউল (৫০), বিপ্লব (৩৫), ওহিদ (৪০), ইউনুস (৫০) ও লিপটন শিকদার (৩৫)সহ অনেকেই গুরুতর আহত হন। স্থানীয়রা জানান, এসময় প্রায় ১৮টি ঘরবাড়ি ও অন্তত পাঁচটি দোকান ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, খারদিয়ার মুশফিক বিল্লাহ জিহাদ ও টুলু মিয়ার নেতৃত্বে একদল লোক দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা করে। তবে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
শেখর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান রইসুল ইসলাম পলাশ বলেন, খারদিয়া গ্রামের মুশফিক ও তার আত্মীয় ইলিয়াস কাজীর নেতৃত্বে এক থেকে দেড় হাজার লোক অতর্কিত হামলায় অংশ নেয়।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে সহকারী পুলিশ সুপার আজম খান বলেন, গোসলকে কেন্দ্র করে দুই শিশুর মারামারির জের ধরেই এই হামলা হয়েছে। বাড়িঘর ভাঙচুর হয়েছে, তবে পুলিশ দ্রুত পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ভিডিও ফুটেজ দেখে দোষীদের গ্রেপ্তার করা হবে এবং ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন।
কেকে/লআ