রবিবার (২৩ নভেম্বর) সকালে জিএমপি হেডকোয়ার্টার্স-এর সম্মেলন কক্ষে নবনিযুক্ত পুলিশ কমিশনার মো. ইসরাইল হাওলাদার মতবিনিময় সভা বলেন, অপরাধ মোকাবিলায় নতুন চ্যালেঞ্জ আমাদের অসম্পূর্ণ এবং ত্রুটিপূর্ণ বিআরটি প্রকল্প।
সভায় তিনি বলেন, জিএমপিতে আমাদের অসংখ্য চ্যালেঞ্জ রয়েছে। চ্যালেঞ্জ গুলোর মধ্যে, আমি মূলত তিনটি ভাগ এখানে উল্লেখ করতে চাই। একটি হলো ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা, আরেকটি হলো অপরাধ নিয়ন্ত্রণ এবং জাতির জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নির্বাচন। এই মুহূর্তে আমাদের তিনটি প্রায়োরিটি নিয়ে কাজ করতে হবে। জানতে পেরেছি, এগুলোর মধ্যে চুরি, ছিনতাই, যাত্রী হিসেবে তুলে নিয়ে মুক্তিপণ আদায় এবং মাদক। এই অপরাধগুলোর প্রবণতা এখানে বেশি। এগুলো নিশ্চিত ভাবে আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জ।
গণঅভ্যুত্থানের পরবর্তীতে মাদকের ভয়ানক বিস্তার হয়েছে। এখানে জনসংখ্যার প্রায় ৭০ ভাগ বাইরের জেলার অধিবাসী। আমাদের টঙ্গী থেকে গাজীপুর চৌরাস্তা পর্যন্ত অসম্পূর্ণ ও ত্রুটিপূর্ণ বিআরটি প্রজেক্ট আমাদের অপরাধের চ্যালেঞ্জকে আরো কঠিন করে তুলেছে। ছিনতাই চুরি ছাড়াও সড়ক নিরাপত্তা মারাত্মকভাবে বিঘ্নিত করছে এবং অসংখ্য প্রাণ ঝড়ে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, গাজীপুর মহানগর এলাকায় ৫ হাজারের অধিক শিল্প প্রতিষ্ঠান রয়েছে। প্রতিটি শিল্প প্রতিষ্ঠান শান্তিপূর্ণভাবে রাখা এবং জাতীয় অর্থনীতি সচল রাখার দায়িত্ব পালনে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।
যে সকল সার্ভিসের জন্য নগরবাসী পুলিশের কাছে আসেন। এ সকল সার্ভিস কিভাবে আরো সহজ করা যায় সে বিষয়ে আমরা পদক্ষেপ নিবো । আপনারা জানেন যে, জিডির বিষয়ে ইতিমধ্যে অনলাইনে গ্রহণ করার ব্যবস্থা হয়েছে।
তিনি বলেন, ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে ত্রুটিপূর্ণ বিআরটি যেমন আছে, লাইনেও বড় সমস্যা রয়েছে। এছাড়া, আমরা একটা টিম করে দিয়েছি। আমি নিজেও ভিজিট করব। কিভাবে পদক্ষেপ গ্রহণ করা যায়। বিশেষ করে টার্নিং নিয়ে কোন কাজ করা যায় কি না।
আমরা সাময়িকভাবে একটা মোড় বন্ধ করে ইউটার্ন-এর ব্যবস্থা করব। যদি দেখি এটা সাকসেস তাহলে রাখবো, নগরবাসীর সমস্যা হলে রাখবো না।
সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন বর্তমান সরকারের অগ্রাধিকার। নির্বাচনের জিএমপি সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করবে।
নির্বাচনের পূর্বে নির্বাচনের পরিবেশ বজায় রাখতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করব। নির্বাচনকালে নগরবাসী যাতে নিজের ভোট দিতে পারেন সেই ব্যবস্থা করা হবে।
কেকে/ লিআ